অর্থনীতি

দাম কমেনি মাংসের, ঊর্ধ্বমুখী সবজি বাজার

ডেস্ক রিপোর্ট

২৮ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:৩৯:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ‍॥ ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস ও চিনির দাম এখনো কমেনি। বরং ঈদের পরের কয়েক দিনে নতুন করে বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে নানা পদের সবজির দামও।

শুক্রবার রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এখন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা দরে। যা ঈদের আগে বেড়েছিল। এরমধ্যে কয়েকদিন ৫-১০ টাকা ওঠানামা করেছে, তবে মোটাদাগে দাম এখনো আগের মতো বাড়তি রয়েছে।

এদিকে ঈদের এক সপ্তাহ আগে গরুর মাংসের দাম সাড়ে ৭০০ থেকে বেড়ে ৮০০ টাকায় ঠেকেছে। এখন চাহিদা কমলেও কমেনি দাম। বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

অন্যদিকে ঈদের আগে থেকে চলমান চিনির সংকট এখনো কাটেনি। চাহিদা স্বাভাবিক হয়ে এলেও এখনো সরকার নির্ধারিত থেকে বেশি দামেও কিনতে হচ্ছে পণ্যটি। যেসব দোকানে খোলা চিনি পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।

যদিও ৬ এপ্রিল সরকার প্যাকেট চিনির কেজি ১০৯ টাকা, আর খোলা চিনির কেজি ১০৪ টাকা ঠিক করে দিয়েছিল। দাম প্রসঙ্গে খুচরা দোকানিরা জানিয়েছেন, ঈদের আগ থেকে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন পরিবেশকরা। এখন (ঈদের পর) অন্যান্য পণ্যের অর্ডার নিলেও চিনির কোনো খবর জানাচ্ছেন না। বেশির ভাগ দোকানে যে চিনি বিক্রি হচ্ছে তা ঈদের আগে কেনা।

আবার চিনি কিনতে হলে দোকানদারকে বাধ্যতামূলক আরও কয়েকটি পণ্য কেনার শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন পরিবেশকরা এমনটিও জানিয়েছেন মালিবাগ বাজারের কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা।

অন্যদিকে ঈদের পরে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ৩৬ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। আর আলুর দাম ৫-৭ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে।

আলু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ শেষে আমদানি ও পাইকারি বাজারের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়ায় আড়তে মালের সংকট রয়েছে। আবার সব দোকান না খোলায় পাইকারও কম। সেজন্য পণ্যের দাম বাড়ছে।

তবে আমদানি পর্যায়ে কোনো সমস্যা নেই বলেও তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে উৎপাদন ভালো থাকায় আগামী কোরবানির ঈদসহ পরবর্তী সময় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বাজারে কোনো সমস্যা হবে না বলে দাবি করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।

এদিকে সবজির বাজারে এখনো আলু পেঁপে ছাড়া ৬০ টাকার নিচে কিছু মিলছে না।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content

আরও খবর: অর্থনীতি

বাংলাদেশে এনার্জি ম্যানেজমেন্ট সলিউশনে “অল ইলেকট্রিক বিডি” এর শুভ যাত্রা

অষ্টগ্রামে ৩শ শীতার্ত মানুষ পেল কম্বল

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু। মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : উত্তর বঙ্গের সবচেয়ে ভারী শিল্প ঠাকুরগাঁও সুগারমিল-এর আজ থেকে আখ মাড়াই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। এ বছর মোট ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষমাত্রা ধার্য্য করে এ ভারী শিল্পটির ৬৬ তম আখ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মিলের মাড়াই কার্যক্রম চলবে ৪৫ থেকে ৫০ দিন। শুক্রবার বিকালে ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে মাড়াই মওসুমের উদ্বোধন করা হয়। ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত উপসচিব শামিন সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বাবলু, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবাশীষ দত্ত সমীর, ঠাকুরগাঁও সুগারমিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উলুব্বী, কেন্দ্রীয় আখচাষী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা। এসময় ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মাড়াই মওসুমের উদ্বোধনের আগে মিলের উন্নয়নসহ দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। চলতি মৌসুমে ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদিত হবে ৪৫৫০ মেট্রিক টন। চিনি আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬.৫০ শতাংশ।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় বদলে গেছে নির্বাচনের চিএ।

আইইএবি এর তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বার্ষিকী ও মহান বিজয় দিবস – ২০২৩ উদযাপন।

ঈদগাঁও বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজ দেড়শত টাকায় বিক্রি