২ এপ্রিল ২০২৩ , ৬:৩৭:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
পলাশ চন্দ্র দাসঃবরিশাল প্রতিনিধি//
দেশের মুরগির বাজারে প্রায় দুই মাস ধরে অস্থিরতার পর স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বিভিন্ন প্রকার মুরগির দাম। রবিবার (২ এপ্রিল ) বরিশাল নগরীর হাঁস-মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে। গত চারদিন আগেও ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগী। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছিলো ৩৯০ টাকা কেজি দরে। রবিবার যা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। সম্প্রতি মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে নড়ে-চড়ে বসে তদারকি সংস্থাগুলো। মুরগির দাম নিয়ে বিরাজমান অস্থিরতা কমাতে দেশের বড় চার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গত (২৩ মার্চ) বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মুরগির অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে শুনানি শেষে ফার্ম থেকে সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতিষ্ঠান চারটি। এরপর থেকেই বাজারে কমতে থাকে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম।ব্রয়লার মুরগি
দাম কমার বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বাজাররোড মুরগি বিক্রেতারা বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে মুরগি কিনি। সেখানে দাম কমলে আমরাও কমে বিক্রি করতে পারি। দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়াতে হয়। সাতদিন থেকে দাম কমছে, আগামী কয়দিনে আরও কমতে পারে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিক্রেতা বলেন, ফার্ম মালিকরা ইচ্ছা করে মুরগির উৎপাদন কমিয়ে দাম বাড়িয়েছে। সরকারের চাপে তারা এখন দাম কিছুটা কমিয়েছে। কিন্তু আবার ২০ রমজানের পর মুরগির দাম বেড়ে যাবে। বাজারে স্বস্তি ফিরলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি মুরগির ক্রেতারা। এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, দাম কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য এটা যথেষ্ট নয়। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৩০-১৪০ টাকা কেজি হলে সাধারণ মানুষের জন্য ঠিক হতো। আরেক ক্রেতা বলেন, দাম বাড়ানোর সময় ১৩০-১৪০ টাকা বাড়িয়েছে। আর কমানোর সময় মাত্র ৭০-৮০ টাকা যথেষ্ট নয়।