২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৯:২৩:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
বর্তমান বাকেরগঞ্জের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উদীয়মান তরুণ প্রজন্মের নেতারা ২০০১ সালে দলের মীর জাফরদের নাম শুনেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাদের দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। দীর্ঘ চব্বিশ বছর পর আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মিশনে নেমেছে (২০০১ সালের) অভিনেতারা।বাকেরগঞ্জে ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মরহুম সৈয়দ মাসুদ রেজা বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে নৌকার বিরোধিতা করেছেন একদল মীর জাফর।বাকেরগঞ্জের তরুণ প্রজন্মের নেতারা অনেকেই হয়তো সেই গল্প শুনেছে কিন্তু দেখার সৌভাগ্য হয়েছে ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ডুবানোর মিশনে প্রকাশ্যে তাদের সক্রিয় ভূমিকায়।অবহেলিত বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভাগ্য উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দীর্ঘ ২২ বছর পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা সকলের দাবি পূরনের লক্ষ্যে নৌকা প্রতীক বাকেরগঞ্জে উপহার দিয়েছেন।২০০১ সালে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের কারণে নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একদল মীর জাফর আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে বিএনপিকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। নৌকা ডুবিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলোর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দীর্ঘ বছর নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন ঘটিয়েছে। (ধারাবাহিক ভাবে তাদের ইতিহাস তুলে ধরা হবে)।বাকেরগঞ্জের ত্যাগী ও সৎ নেতৃত্বের নেতাকর্মীদের কৌশলে দূর সরিয়ে রেখে। আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে কিছু অনুপ্রবেশ কারী হাইব্রিড ও ভুঁইফোর নেতা তৈরি করে তাদের প্রচারের মাধ্যমে ভালো মানুষের মুখোশ লাগিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তারা। আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে তাদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মীর জাফরের চরিত্র ফুটে উঠেছে ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে।বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সকলের দাবি ছিলো নৌকা,নৌকা, নৌকা চাই। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাসের পরিক্ষিত একজন সৎ, মেধাবী ও দুর্নীতি মুক্ত মানুষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) আবদুল হাফিজ মল্লিককে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন।মেজর জেনারেল (অবঃ) আবদুল হাফিজ মল্লিক তার জীবনের অর্ধেক সময় রাষ্ট্র ও দেশের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে কাটিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ার কারণে চাকুরী হারিয়েছেন পাঁচ বছর মেয়াদ থাকাকালীন। রাষ্ট্র ও দেশের উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড ও নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা হাফিজ মল্লিকের কাছে বাকেরগঞ্জ উপজেলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন ও নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।মেজর জেনারেল (অবঃ) আবদুল হাফিজ মল্লিককে জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ঘোষণা দেয়ায়। বাকেরগঞ্জের কিছু দুর্নীতিবাজ ও স্বার্থন্বেষী নেতা সেই (২০০১ সালে) নৌকা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে (২০২৪ সালে) জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী ও নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে।বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভাগ্য উন্নয়নের পরিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করে নিজেদের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে।বাকেরগঞ্জের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বারবার নৌকা ডুবানো মিশনে ইতিহাসের সেরা মীর জাফরের ভূমিকার চরিত্রে দেখা গেছে (২০০১ ও ২০২৪) সালের ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকা একই অভিনেতাদের।