অর্থনীতি

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় বদলে গেছে নির্বাচনের চিএ।

ডেস্ক রিপোর্ট

২০ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৭:০৫:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় বদলে গেছে নির্বাচনের চিএ।

তাড়াশ প্রতিনিধি।

উচ্চ আদালতের মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সুইট প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের হিসাব নিকাশের গড়মিল দেখা দিচ্ছে।

নির্বাচনে অপর তিনজন প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও রায়গঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ জাকির হেসেন ও বিএনএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা।

গত (১৭ ডিসেম্বর) জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আলমগীর হোসেন তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ফলে অনেকটাই নির্ভার ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। কিন্তু ভোটের সে সমীকরণ হঠাৎ করেই পাল্টে গেল স্বতন্ত্রপ্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মো. সাখাওয়াত হোসেন সুইটের প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার পর।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ-৩ আসন রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা সমন্বয়ে গঠিত। এর মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৫৮ হাজার ৩০৯ ও তাড়াশ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৪। মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ১৪ হাজার ৮৪৩।এক লাখ এক হাজার ৭৭৫ ভোটার রায়গঞ্জ উপজেলায় বেশি। এ হিসেব ধরেই প্রার্থীদের মাঝে নতুন করে হিসাব নিকেশ চলছে।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ তাড়াশ উপজেলার বাসিন্দা। অপর তিন প্রার্থী রায়গঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।মো. সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন, আমাকে নানা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চক্রান্ত করা হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্ট আমার প্রার্থিতা সঠিক প্রমাণ করে যে রায় দিয়েছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, দল সুসংগঠিত রয়েছে। আর সুসংগঠিত আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারেনি। এ কারণে জয়ের বিষয়ে তিনিও আশাবাদী। এ ছাড়া গত পাঁচ বছরে এ আসনে তাঁর করা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সাধারণ ভোটাররা ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

সাখাওয়াত হোসেন সুইটের প্রার্থিতা বাতিলের মধ্য দিয়ে নিরুত্তাপ হয়ে পড়েছিল এ আসনের ভোটের চিত্র। কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় হঠাৎ করেই পাল্টে যায় পুরাতন হিসাব নিকেশ। ভোটাররাও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। করছেন নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।

উল্লেখ্য, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি জামায়াত নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content