২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ২:০৪:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত বছর মন্ট্রিলের কিছু অসাধু বেহায়া বাঙালিদের দুষ্টু চক্রের কুপরার্মশে অসম্প্রদায়িক চিন্তাধারার বাহক শানু আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাম্প্রদায়িক অপবাদ আনা হয়। যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ও উদ্দেশ্য মূলক। ছবি নির্মাতা ও পরিচালক দিলীপ বিশ্বাসের ছেলে দেবাশীষ বিশ্বাস যাচাই-বাছাই না করে ভিডিও বার্তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়েছিলো ! এতে করে কানাডায় বসবাসকারী বাঙালি কমিউনিটির সনামধন্য প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক মানবিক মানুষ, নেতৃত্ব স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শানু আলম মানহানী ও হয়রানীর শিকার হন। তার এত দিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন হওয়াতে বাধ্য হয়ে তিনি। দেবাশীষ বিশ্বাস সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে কানাডার কিউবেক সুপিরিয়র কোর্টে মামলা করেন। দেবাশীষ বিশ্বাস এই মুহুর্তে বাংলাদেশে থাকায় তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের
রেজিস্টার চিঠি ঢাকার পোস্টঅফিসে ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে পড়ে আছে ( Canada post tracking list ) তার প্রমান !
রেজিস্টার চিঠি গ্রহণ না করা অর্থ কানাডার আইনকে এড়িয়ে যাওয়া নয় বরং অমান্য করা ! এটা ইচ্ছাকৃত একটা অন্যায়ের সমতুল্য !
ব্যবসায়ী শানু আলম বলেন” তাকে ( দেবাশীষকে) আমি চিনিনা , জীবনেও তার নাম শুনিনি ! বুঝতে পারছি না, কেন সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার প্রচার ছড়াচ্ছে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ক্ষতিগ্রস্ত করতে এই ভিডিও বার্তাটা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করলো ?
পরে আমি জানতে পারি সে মন্ট্রিলে তার এক বান্ধবীর কাছে ম্যাসেঞ্জারে স্বীকার করেছে, দেবাশীষ মন্ট্রিলে কিছু চিটার প্রতারক বেহায়া বাঙালিদের প্ররোচনায় উস্কানিতে না জেনেশুনে এই অপরাধ করেছে ! ( ম্যাসেঞ্জারের কিছু স্ন্যাপ শর্ট তার প্রমান )
তা ছাড়া আমি দেবাশীষের সাথে মেসেঞ্জার এ যোগাযোগ করলে সে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিন্তু এই ধরনের অপকর্ম করে ক্ষমা চাইলে আমার সম্মান কি ফিরে আসবে?
ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ দেবাশীষ আমাকে ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠায় ! আমি প্রত্যাখ্যান করলে পরে তার বিশেষ অনুরোধে গ্রহণ করি !
সে মেসেঞ্জারে সমস্ত দোষ স্বীকার করেছে ! বলেছে সে মন্ট্রিলের কিছু বিপদগামীর পাল্লায় পড়ে সে ভিকটিম !
গত সপ্তাহে সে ফ্লোরিডায় ভিডিও কলে কথা বলেছি !
এর আগে সে আমাকে ম্যাসেজ দিয়েছে এবং দাবি করেছে সে নির্দোষ !
সে ( দেবাশীষ) বলেছে
❝ভাই, আপনি আমাকে এবং আমার পরিবারের পটভূমি জানেন! এই ক্ষেত্রে, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ! আমি কিছু দুষ্টু লোকের পাল্লায় পড়েছিলাম শয়তান আমাকে দাগা দিয়েছিল! আমার মনে আপনাকে অপমান বা হেরাস করার কোন উদ্দেশ্য নেই! আপনি আমার খুব প্রিয় ভাইজান! আপনি যদি এখনও মনে করেন, আমি দোষী, আমি আমার হৃদয়ের মূল থেকে ক্ষমা চাই❞
আমি তাকে বলেছি সে যদি নির্দোষ হয় তাহলে আমাকে উদ্দেশ্যে করে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলো কেন ? যেটা আমার অসম্প্রদায়িক চিন্তাধারার উপর প্রচন্ড আঘাত করেছে !
দেবাশীষ আমাকে এ ও জানিয়েছে সে আমার আইনজীবীর ২ টো চিঠি পেয়েছে ! আমি তাকে বলেছি সে যদি কারো উস্কানিতে এই কর্ম করে থাকে তাহলে বাংলাদেশে তার আইনজীবী কানাডার আমার আইনজীবীকে যেন লিখিত উত্তর দেয়।
ব্যবসায়ী শানু আলম আরো বলেন আমি যদি গরীব অসহায় হতাম , তা হলে দেবাশীষ পার পেয়ে যেতে পারত! কিন্তু আমি অত সহজে ছেড়ে দেবার পাত্র নই, আমার অসাম্প্রদায়িকতা আমার অহংকার চির দিন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের সেবা করে এসেছি , সে না জেনে না শুনে সেখানে আমার সম্মানে আঘাত করেছ। আমাকে সাম্প্রদায়িক প্রমান করতে চেয়েছে অথচ আমি সব সময় অসাম্প্রদায়িক মুক্তচিন্তার চর্চা করে এসেছি। কাডায় বসবাসরত সকল বাঙালিরা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে জানে আমি এক জন ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ।
আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারি না।
মনে রাখতে হবে এই মামলায় স্কাইপে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ! পালাবার কোন পথ নাই !
মামলা থেকে খালাস পেতে হলে সত্য কথা বলতে হবে কে বা কারা তাকে এই অনৈতিক কাজ করতে উৎসাহ দিয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে ! সে পরিষ্কার বলেছে I has been trapped, তাহলে কানাডার কে সেই ব্যাক্তিরা যারা তাকে ফাঁদে ফেলেছে ?
অনুসন্ধান করে জানা যায়
শানু আলমের অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারাকে আঘাত করার জন্য তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে , তাকে সামাজিকভাবে অপদস্ত করার জন্য মন্ট্রিলে কিছু অসাধু কুলাঙ্গার অভদ্র লোক হিন্দু সমিতির নাম দিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়েছে সে তথ্য তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ! যেখানে সংগঠনে ঠিকানা লিখা আছে অনুপ চৌধুরীর নাম , যার পিতা একজন সাজাপ্রাপ্ত ক্রিমিনাল ! আর একজন রনি মালিক যাদের কাজ হল কানাডায় বাঙালি কমিউনিটির বিশিষ্ট জনদের হয়রানি ও প্রতারণা করা।