আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশন মানববন্ধন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশন মানববন্ধন

মোঃ জহিরুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশের স্বকীয় ও বিশ্বব্যাপী পালিত দিবস সমূহকে। দিবসগুলোর অধিকাংশই প্রায় নিয়মিত পালিত হয় এবং হয়ে আসছে। কিন্তু কিছু কিছু দিবস, বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে, প্রতিহিংসাবশত, ঐ রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা চলাকালীন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় না। আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক দিবসগুলোর জন্য সরকারি ও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার প্রেক্ষিতে তা পালিত হয়।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রবিবার (১০ ডিসেম্বর ) ইং তারিখে বরিশাল অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে “ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশন” ( জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার ঘোষণা বাস্তবায়নে সচেষ্ট ) সকাল ১০ ঘটিকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে মানব-মর্যাদা, স্বাধীনতা আর ন্যায়পরায়ণতা, দাঁড়াব সকলেই অধিকারের সুরক্ষায়। দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মানববন্ধন, আলোচনা সভা সহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশনের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মনির, অফিসার্স ও সদস্যবৃন্দরা ছিলেন মাওলানা মোতাছেম বিল্লাহ, এ্যাডভোকেট মোঃ আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, এ্যাডভোকেট মোঃ এনামুল, আইনজীবী মিজানুর রহমান, মোঃ ইসমাইল, মোঃ আব্দুর রব শিকদার, মোঃ জহিরুল ইসলাম।

বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক জানাব মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মনির তিনি বলেন, বিশ্বের সকল দেশের সমন্বয়ে ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ভাবে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত করা হয়, তাই ১০ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন করা এবং সফল উদ্দেশ্য বরিশাল অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে উপস্থিত হয়ে ফাউন্ডেশন ও আপনাদের সম্মুখে কিছু কথা বলা ও দাবি রাখার উদ্দেশ্য হাজির হয়েছি। এই ফাউন্ডেশন আমরা জনস্বার্থে দুস্থ ও অসহায় মানুষের পক্ষে, অন্যায়কারী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি।

এমতাবস্থায় বিভিন্ন দায়িত্বরত ঘুষ ও দূর্নীতি, দেশ ও জাতির শত্রু এই মানুষ ভালো কাজের বিরোধিতা করে ও যাহার ঘুষ দূর্নীতিতে জড়িত এবং দেশ ও জাতির এরা খারাপ কাজের পক্ষে থাকে এবং নিজেরাও করে। এই ফাউন্ডেশন দেশ ও জনস্বার্থে দুস্থ মানুষের পক্ষে, অন্যায়কারী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরূদ্ধে কাজ করে। এমতাবস্থায় অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয় । তাই আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এবং বাংলাদেশ সরকার সহ দেশবাসীর কাছে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশনে সহযোগিতা কামনা করি।

 

জাতিসংঘের নির্দেশনায় বিশ্বের সকল দেশে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালিত হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সাল থেকে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়। এছাড়াও, ‘সার্বজনীন মানব অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাকে’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ তারিখকে নির্ধারণ করা হয়। সার্বজনীন মানব অধিকার ঘোষণা ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নবরূপে সৃষ্ট জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ অর্জন।

৪ ডিসেম্বর, ১৯৫০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১৭তম পূর্ণ অধিবেশনে ৪২৩ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সদস্যভূক্ত দেশসহ আগ্রহী সংস্থাগুলোকে দিনটি তাদের মতো করে উদ্‌যাপনের আহ্বান জানানো হয়। মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্যচিত্র কিংবা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রধানত এ দিনের সাধারণ ঘটনা। ঐতিহ্যগতভাবে ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে প্রতি পাঁচ বৎসর অন্তর ‘জাতিসংঘের মানব অধিকার ক্ষেত্র পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। এছাড়া নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান কার্যক্রমও এদিনেই হয়ে থাকে।

২০০৬ সালে মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে অবস্থান’, যা ছিল মানব অধিকার সংক্রান্ত। অনেকগুলো বক্তৃতা-বিবৃতি এ দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রদান করা হয়েছিল। তন্মধ্যে ৩৭টি দেশ নিয়ে গড়া জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলর। প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করে। ঘোষণাপত্রের ৩০টি অনুচ্ছেদে প্রতিটি ব্যক্তির অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘোষণাপত্র গ্রহণের দিনটি প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content