লাইফস্টাইল

জেলাজুড়ে নতুন চালে ঘরে ঘরে ভাপা পিঠা তৈরীর উৎসব

এম এ আবু হেনা সাগর

২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১০:৪৮:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

জেলাজুড়ে নতুন চালে ঘরে ঘরে ভাপা পিঠা তৈরীর উৎসব
এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও

নতুন ধানের মুহুমুহু গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে ঈদগাঁও উপজেলাসহ জেলার প্রত্যান্ত পাড়া মহল্লা। নতুন ধানের চালে পিঠা তৈরীর হিড়িক পড়েছে ঘরে ঘরে। এরই ফাঁকে প্রত্যান্ত এলাকাতে দেখা দিয়েছে নবান্নের আমেজ। মজাদার পিঠার আনন্দ চলছে প্রায় পরিবারে। বেশ কিছুদিন ধরে নতুন ধানের চাল পিষিয়ে শীতের ঐতিহ্যবাহী ভাপাপিঠাসহ হরেক রকমের পিঠাপুলি তৈরী করে যাচ্ছেন গৃহবধুরা।

গ্রামাঞ্চল জুড়ে নতুন চাল দিয়ে পিঠা পুলি পায়েশ-পোলাও আর নতুন চালের আটা গুড়সহ কলা দিয়ে সিরনি তৈরী করে আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খাবার ধুম। নবান্ন ছাড়া কনকনে শীতে প্রত্যন্ত এলাকার বহুজন নতুন চাল দিয়ে হরেক রকমের পিঠা তৈরী করে শীত পিঠার আয়োজনও করে।

পেঠান নামের এক যুবক জানান, শীত মৌসুমে পিঠার মহাউৎসব যেন পাড়া মহল্লায়। বাড়ীতে নতুন ধানের চালে পিঠা তৈরী আয়োজন ও করছে।

জামি জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও মা শীত পিঠা তৈরী করছে। বাড়ীর সকলের এক সাথে বসে আনন্দের সাথে খেয়েছি, এটি এক অন্যরকম অনূভূতি।

কজন ধান চাষী জানান, নবান্ন উপলক্ষে নানা জাতের ধান কাটা হচ্ছে, নতুন ধানের চাল দিয়ে নবান্ন উৎসব,পিঠা তৈরী চলছে ঘরে ঘরে।

গৃহবধুরা জানান, চলতি শীত মৌসুমে বাড়ীতে নতুন চাল দিয়ে ভাপাপিঠা তৈরী করে পরিবারের সবাইকে শীত পিঠার খাওয়ানোর মজায় কিন্তু আলাদা।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

জহিরুল হক বলেন, কেন্দ্র থেকে ঘোষিত বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে থানা পুলিশ বাঁধা

__চোখের ইশারা__ আহমেদ আশিক

__চোখের ইশারা__ আহমেদ আশিক

শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি শীত আসলেই মনে হয়ে যায় শীতের নানা রকম মুখোরোচক পিঠার কথা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই নেত্রকোনা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতে পিঠা বানানো, বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিঠা ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নেত্রকোনা জেলার পৌর শহরের থানারমোড়, মুক্তারপাড়া মাঠ, বড়বাজার, সাতপাই কালিবাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারের মোড়ে এবং গ্রামের দোকানে মাটির চুলায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা। বেশির ভাগই চোখে পড়ে ভাপা ও চিতই পিঠা। শীত আসলেই এসব দোকান বসে। পিঠা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি লাগে, এ ছাড়া কিছু গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়েই শুরু করা যায় ব্যবসা। তারা আরও বলেন, শীত মৌসুমে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি হয় বেশি। বিকেল থেকে বেশ রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে পিঠার দোকানগুলোতে। জেলার পৌর শহরের থানার মোড়ে ভাপা পিঠা খেতে আসা আমহোসেন বলেন, চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। গরম গরম ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণ বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পৌর শহরের পিঠা বিক্রেতারা জানান, বেচা-বিক্রি বেশ ভালোই। সন্ধ্যায় ক্রেতাদের আগমন ঘটে অনেক, ফলে চাহিদানুযায়ী বানানো হয়ে থাকে। গরমে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীতের মৌসুমে তিনি ভাপা পিঠা ও সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনযাপন করছেন। তারা আরও বলেন, চিতই পিঠার সঙ্গে ধনে পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করেন তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন এসব পিঠার এক একটির দাম নেওয়া হয় ১০ টাকা এবং ভাপা পিঠার দাম নেওয়া হয় ১৫ টাকা। সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খান। অনেকে আবার বাড়ির জন্য কাগজে করেও নিয়ে যান এসব পিঠা। এ বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সেলিম মিঞা জানান, পথেঘাটে অনেক পিঠার দোকান বসে। দোকানদার অবশ্যই দুহাত ধুয়ে পিঠা তৈরি করবেন। রাস্তার পাশের দোকান ঢেকে রাখা প্রয়োজন। অপরদিকে, ক্রেতারা হাত ধুয়ে পিঠা খাবেন। কখনোই বাসি ও পচা পিঠা খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস্ট্রিকসহ ডায়রিয়া হতে পারে। রিপন কান্তি গুণ ১৩/১২/২০২৩

তো এই পর্যন্ত! বিদায় ফুটবল

মাত্র সাড়ে ৬ মাস দায়িত্ব পালনে,রূপসা”বাসীর আস্থার প্রতীক : ওসি মো: শাহিন

জেলাজুড়ে নতুন চালে ঘরে ঘরে ভাপা পিঠা তৈরীর উৎসব

Sponsered content

আরও খবর: লাইফস্টাইল

তো এই পর্যন্ত! বিদায় ফুটবল

__চোখের ইশারা__ আহমেদ আশিক

__চোখের ইশারা__ আহমেদ আশিক

পদ ফেরত চেয়ে উচ্চ আদালতে ডিপজল

লোহাগড়ায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন ২০২৪ কারা হচ্ছেন সদস্য? কে হচ্ছেন সভাপতি?প।

জেলাজুড়ে নতুন চালে ঘরে ঘরে ভাপা পিঠা তৈরীর উৎসব

শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি শীত আসলেই মনে হয়ে যায় শীতের নানা রকম মুখোরোচক পিঠার কথা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই নেত্রকোনা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতে পিঠা বানানো, বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিঠা ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নেত্রকোনা জেলার পৌর শহরের থানারমোড়, মুক্তারপাড়া মাঠ, বড়বাজার, সাতপাই কালিবাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারের মোড়ে এবং গ্রামের দোকানে মাটির চুলায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা। বেশির ভাগই চোখে পড়ে ভাপা ও চিতই পিঠা। শীত আসলেই এসব দোকান বসে। পিঠা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি লাগে, এ ছাড়া কিছু গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়েই শুরু করা যায় ব্যবসা। তারা আরও বলেন, শীত মৌসুমে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি হয় বেশি। বিকেল থেকে বেশ রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে পিঠার দোকানগুলোতে। জেলার পৌর শহরের থানার মোড়ে ভাপা পিঠা খেতে আসা আমহোসেন বলেন, চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। গরম গরম ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণ বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পৌর শহরের পিঠা বিক্রেতারা জানান, বেচা-বিক্রি বেশ ভালোই। সন্ধ্যায় ক্রেতাদের আগমন ঘটে অনেক, ফলে চাহিদানুযায়ী বানানো হয়ে থাকে। গরমে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীতের মৌসুমে তিনি ভাপা পিঠা ও সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনযাপন করছেন। তারা আরও বলেন, চিতই পিঠার সঙ্গে ধনে পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করেন তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন এসব পিঠার এক একটির দাম নেওয়া হয় ১০ টাকা এবং ভাপা পিঠার দাম নেওয়া হয় ১৫ টাকা। সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খান। অনেকে আবার বাড়ির জন্য কাগজে করেও নিয়ে যান এসব পিঠা। এ বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সেলিম মিঞা জানান, পথেঘাটে অনেক পিঠার দোকান বসে। দোকানদার অবশ্যই দুহাত ধুয়ে পিঠা তৈরি করবেন। রাস্তার পাশের দোকান ঢেকে রাখা প্রয়োজন। অপরদিকে, ক্রেতারা হাত ধুয়ে পিঠা খাবেন। কখনোই বাসি ও পচা পিঠা খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস্ট্রিকসহ ডায়রিয়া হতে পারে। রিপন কান্তি গুণ ১৩/১২/২০২৩