অপরাধ

দুস্থদের চালে ভাগ বসালেন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য।

ডেস্ক রিপোর্ট

৯ এপ্রিল ২০২৩ , ১:৪৩:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: সারোয়ার জাহান রাজিব।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলাধীন ২নং মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডাব্লিউবি) প্রকল্পের আওতায় দুস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
হতদরিদ্র/দুস্থ নারীদের কাছ থেকে প্রতিটি কার্ডের জন্য ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৮ মার্চ মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভিডাব্লিউবি এর চাল বিতরণ করা হয়। অথচ ওই বরাদ্দের চাল পায়নি ওই ইউনিয়নের অন্তত এবং তালিকায় থাকা ১৭জন সুবিধাভোগী।

নান্দাইল উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয় থেকে জানান, গত মার্চ মাসে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের মোট ২৭৩ জন নারীর নামে তিন মাসের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে গেলে এ-সময় ওই ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামের ১০ জন দুস্থ নারী গণমাধ্যমকে জানান, কয়েক মাস আগে তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে কার্ড দেওয়ার কথা বলে ৫০০ টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি নিয়েছিলেন ওই ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল। তারা আরও জানায়, আমরা বরাদ্দের চাল পায়নি, কার্ডও পাননি! পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তালিকায় আমাদের নাম আছে, কিন্তু ইউপি সদস্য কামরুল, ভিডাব্লিউবি কার্ড এর বিষয়ে কিছুই জানাননি।
বিষয়টি চারকান হলে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ইউপি সদস্য কার্ডগুলো তাঁদের হাতে দেন, কিন্তু চাল দেয়নি। একই অভিযোগ জানান, ৩, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আরো সাতজন।
উক্ত ইউনিয়নের অন্তর্গত কাদিরপুর গ্রামের তাছলিমা জানান, ইউপি সদস্য কামরুলের কাছে চালের বিষয় জানতে চাইলে জানান, দুই বছর মেয়াদের কার্ড। এক বছরের চাল তিনি ও ইউপি চেয়ারম্যান পাবেন। এর পরের বছরের চাল পাবেন কার্ডধারী!
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কামরুল জানান, এর মধ্যে অনেক কার্ড তিনি পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন। এই জন্য বিতরণ না করে তিনি নিজেই চাল উত্তোলন করেছেন। কার কাছ থেকে কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার ভুল হয়ে গেছে। বিষয়টা চেপে যান। আমি ব্যবস্থা করব”।
মোয়াজ্জেমপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাছলিমা আক্তার (শিউলি) ১৭টি কার্ড নিজে উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, “এইবার একটু ম্যানেজ করেন। আর এমন হবে না”।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা রহমান বলেন, মহিলাবিষয়ক কার্যালয় থেকে কার্ড সরাসরি উপকার ভোগীকে দেওয়ার কথা থাকলেও কার্ড ১৭টি নিয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান শিউলি। এখন যদি এটা নিয়ে অনিয়ম হয় তবে ঊর্ধ্বতন কর্তীপক্ষকে জানতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল মনসুর জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content