কৃষি

লাখাইয়ে বোরোর আবাদ ও ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও পরিদর্শন জোরদার।

ডেস্ক রিপোর্ট

২৯ মার্চ ২০২৩ , ১:২৮:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

কামরুল হাসান সুজন,
লাখাই-হবিগঞ্জ

বোরোধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা।
ধান চাষের উপর নির্ভর করেই লাখাই উপজেলার কৃষকদের জীবন – জীবিকা চলছে যুগ যুগ ধরে।বিশেষ করে বোরোধান চাষাবাদ বর্তমানে বহুলাংশে বেড়ে চলছে। কৃষি বিভাগের হিসেব মতে চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১১১৭৪ হেক্টর জমিতে রেকর্ড পরিমান বোরো ধান চাষ হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে বেশি। উপজেলায় বোরোধান এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে প্রায় ৫৭৯৮২ মেট্টিক টন । আর ক’দিন পরেই শুরু হবে হাওরে বোরো ধান কাটার ধুম। প্রথমে পর্যায়ে কাটা হবে ব্রি ধান -২৮ ও হাইব্রিড জাতের ধান। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জাত। সবুজ ধানের ক্ষেতে পরিচর্যায় কৃষকগণ ব্যস্ত সময় পার করছে। থেমে নেই কৃষি বিভাগের কর্মতৎপরতা। ধান ক্ষেতে নিবিড় পরিচর্যা, নিরবচ্ছিন্ন সেচ ব্যাবস্থাপনা ও রোগ বালাই দমনে কৃষকদের নিয়মিতভাবে পরামর্শ সেবা দিয়ে যাচ্ছে লাখাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য্যের পরামর্শ ও উদ্ভোদ্ধকরনে লাখাই ইউনিয়নে ধান আবাদের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে ঘটেছে নিরব বিপ্লব। তেমনি প্রকৃতির উপর ভরসা করেই কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ধান ফসলের পরিচর্যায় থেমে নেই। কৃষি বিভাগ বরাবরের মতই রোগ প্রবণ জাত হওয়ায় ব্রি ধান- ২৮ চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে আসছে। কিন্তু হাওরের কিছু নিন্মাঞ্চলের জমিতে আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে ও এর চাল সুস্বাদু হওয়ায় কৃষক নিজ উদ্যোগে এ জাত চাষ করে আসছে। ফলশ্রুতিতে কিছু ব্রি ধান -২৮ এর জমিতে ব্লাস্ট হয়ে ধানে চিটা হতে দেখা গেলেও উপজেলার বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবেনা বলে কৃষি বিভাগ আশাবাদী । বিরাজমান বৈরী আবহাওয়ায় রাতে ঠান্ডা, দিনে গরম ও সকালে কুয়াশার কারণে ব্রি ধান ২৮ এর জমিতে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ ও দমনে করনীয় সম্পর্কে কৃষকদের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস বিভিন্ন প্রচারনার মাধ্যমে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এ আবহাওয়ায় ধানের জমিতে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার ছত্রাকনাশক ট্রুপার/ নাটিভো স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছেন, লিফলেট বিতরণ করছেন।
উপজেলার বোরো ধানের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকীর নির্দেশনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহমেদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ শাকিল খন্দকার নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ-দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ও কৃষকদের বিরামহীন পরামর্শ দিচ্ছেন।

সম্প্রতি হবিগঞ্জের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ মোঃ মামুনুর রশিদ ও তাঁর টিম সহ লাখাই উপজেলা কৃষি অফিস এর অফিসারবৃন্দ হাওরে ধানের রোগ-বালাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ও উপস্থিত কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।

কোনরকম বড় প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এ বছর লাখাইতে বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষককূল।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

হাটে নয়,ক্রেতার ভিড় খামারে । *ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি কাঙ্খিত দামে মিলছে না পশু

পাইকগাছায় আক্তারুজ্জামান সুজা চাঁদখালীর মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত

পাইকগাছায় আক্তারুজ্জামান সুজা চাঁদখালীর মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত

রায়গঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

বাকেরগঞ্জে এমপির হস্তক্ষেপে প্রাণবন্ত উপজেলা পরিষদ।।

বাকেরগঞ্জে এমপির হস্তক্ষেপে প্রাণবন্ত উপজেলা পরিষদ।।

জেনারেটরের শর্ট সার্কিটে পুড়ল ৮ দোকান সাইফুল ইসলাম নোয়াখালী থেকে নোয়াখালীর চাটখিলে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৮টি দোকান। শনিবার (৮ জুন) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার সাহাপুর বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সাহাপুর বাজারের জলিলের জুতা দোকান ও জোটন বাবুর জুয়েলার্স দোকানের পিছন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা এসে আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা সেখানে এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে তিনটি মদি, ১টি জুলেয়ার্স, ১টি জুতা দোকানসহ অন্তত আটটি দোকান পুড়ে গেছে। চাটখিল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার আবুল কালাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে ৮টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়। অগ্নিকান্ডের সময় বাজারে বিদ্যুৎ ছিলনা। তখন বৈদ্যুতিক জেনারেটর চালু ছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে জেনারেটরের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। তবে এ অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।

সুন্দরবনে খাল সাঁতরে কুমিরের আক্রমণে মৃত্যু

Sponsered content