দেশজুড়ে

দুমকিতে ব্যবসায়ীকে হেনেস্থার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট

২১ মার্চ ২০২৩ , ৬:৪১:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

 

ওবায়দুর রহমান,
দুমকি (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:- পটুয়াখালীর দুমকিতে এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকে হেনস্তা ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় দুমকি প্রেসক্লাবে ব্যবসায়ী মাসুদ আল মামুন বাবু এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, কিছু দিন যাবৎ একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ অনলাইনে জমি দখলসহ নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর খবর ছড়াচ্ছে। যা সম্পূর্ন মনগড়া, মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন। বাস্তবিক অর্থে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আমার ব্যবসায়িক ও সামাজিক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার বিরোধীয় পক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিন সুমন বিভিন্ন সাংবাদিকদের কাছে ভুল তথ্য সরবরাহ করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে। এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য সরবরাহ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। জমি দখলের বিষয়টিও অসত্য। আমি রাতের আঁধারে কোন কাজ করিনি। আমার ক্রয়কৃত জমিতে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে প্রকাশ্য দিবালোকে আসা-যাওয়ার জন্য জায়গা নেই বিধায় রাস্তার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। আমি ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন গুজব-বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জসিম উদ্দিন সুমন গংরা আমার বিরুদ্ধে কু-রুচিপূর্ণ, অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ঘৃন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়াও চক্রটি তথ্যহীনভাবে আমার বিরুদ্ধে সম্পদের বিপুল পরিমাণ মালিকানার যে বিষয়টি তুলে ধরেছে তাও সম্পূর্ণ অসত্য। বাউন্ডারি ওয়াল এবং রাস্তা নির্মানের তথ্যটিও অসত্য। আমি কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কখনো সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে এলাকায় শতকোটি টাকার জমি ক্রয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে আমি এলাকায় বিভিন্ন সময়ে কম-বেশি সাড়ে তিন কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছি। সরকার এতে রাজস্বপ্রাপ্ত হয়েছে। যাহা আমার ট্যাক্স ফাইলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উপরোক্ত অসত্য তথ্যসমূহ আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য করা হয়েছে। এতে আমার মানহানি হয়েছে। আমার বিরোধীয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়ার পরেই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে শত-শত লোকের উপস্থিতিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করার কারণে উক্ত জমি গোপনে ক্রয়ের কোন সুযোগ নেই। আমার কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অবগত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সম্পত্তির উপর পূর্বের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলেও নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানার পর বিজ্ঞ আদালতের প্রতি সম্মান রেখে কাজের পরিকল্পনা থাকলেও আর কোন ধরনের কাজ করিনি আমরা। আমি আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। আমি রাষ্ট্রের একজন বৈধ ট্যাক্স প্রদানকারী ব্যবসায়ী। আমার সবকিছুই ট্যাক্সের আওতাধীন। আমি দুমকি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। আমাকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই এগুলো করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, পৈত্রিক ও স্বামী সূত্রে ওই জমির মালিক দুই ভাই জসিম উদ্দিন সুমন, মোঃ জামাল হোসেন, দুই বোন মাহিনুর বেগম ও হেলেনা বেগম এবং মাতা মমতাজ বেগম। জসিম উদ্দিন সুমন ও মোঃ জামাল হোসেন, আমার ভগ্নিপতি সহিদের মাধ্যমে আনুমানিক এক বছর আগে ওই জমি (দোকানঘর) বিক্রি করার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে জমি না দিয়ে এক বছর পর টাকা ফেরত দেয়। পরবর্তীতে উক্ত খতিয়ানের অন্য অংশীদার মালিক মাহিনুর বেগম ও হেলেনা বেগম জমি বিক্রির ইচ্ছা পোষণ করলে তাদের কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। এর পরপরই আমাকে তারা (অন্য অংশীদার-জসিম উদ্দিন) বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content