২৪ এপ্রিল ২০২৫ , ১:৫৬:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের গোমা নামক স্থানের মাছ বিক্রেতা শাহআলম খানের বখাটে মাদক সেবী পুত্র আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী সুমন খানের মাছ বিক্রি আড়ালে চলছে তার মরণ নেশা ইয়াবার রমরমা বাণিজ্য। আসলে এই মাছের ব্যবসার আড়ালে সে তার ছেলে সুমনের মাধ্যমে ইয়াবার ব্যবসা চালায়। আর এর মূল হোতা নুরার ছেলে ড্রাইভার কবির। ঢাকায় আগে ড্রাইভারী করতো। এখন ড্রাইভারী ছেড়ে গোমা বাজারে ওষধের দোকান দিয়েছে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া। তার ঔষধ এর উপর কোন অভিজ্ঞতা নাই, ডিপ্লোমাও নাই। মূলত ইয়াবা, ফেনসিডিল এর ব্যবসাকে আড়ালে রাখতে এই ঔষধের দোকান শুরু করে নুরার পোলা ড্রাইভার কবির।খান এখনো প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে এলেও, তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সুমন একটি সুসংগঠিত চক্রের মাধ্যমে টেকনাফ থেকে ইয়াবা সরবরাহ করে বরিশাল জেলার তার নিজ বাকেরগঞ্জ উপজেলা সহ বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলায় এই মরণ নাশক ইয়াবা ট্যাবলেট পাইকারি বিক্রি করে করে আসছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে কিন্তু এখনো তা চলমান আছে এবং এজন্য তার রয়েছে শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকতা।ইয়াবা সম্রাট এই সুমন স্বৈরাচারী হাসিনার সরকার পালিয়ে গেলেও তার এই ইয়াবার রমরমা বাণিজ্য পালিয়ে যায়নি।প্রতিদিন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলিয়ে তার নিজ এলাকা গোমা নামক স্থানের তার নিজ বাড়ির সামনেই জড়ো হয় দূর-দূরান্ত থেকে আগত বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা তার কাছ থেকে এই মাদক পাইকারি ক্রয় করে বাকেরগঞ্জ সহ ও তার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় এই মরণ নেশা ইয়াবার ট্যাবলেট সাপ্লাই দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমনের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও রহস্যজনক কারণে বারবার তদন্ত প্রক্রিয়া থেমে গেছে। অনেকে বলছেন, সুমন প্রশাসনের নির্দিষ্ট কিছু সদস্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না।নাম প্রকাশ করার না শর্তে এক বাসিন্দা জানান, এই ইয়াবার সম্ভাব্য সুমন প্রতি তো আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন এবং তিনি বর্তমানে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশসহ বিভিন্ন প্রশাসনকে একটি মাসিক মাসোয়ারা দেওয়ার কারণে তিনি প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার ইয়াবা বিক্রয় করে আসছে। তাই তার ভয়ে এলাকার লোক প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পায় না। সুমনের কার্যক্রমে এলাকায় মাদকাসক্ত তরুণদের সংখ্যা বাড়ছে এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় তৈরি হচ্ছে। অভিভাবকরা দিন দিন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে।অবৈধ সম্পদে ফুলেফেঁপে ওঠা সুমন এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এলাকার সচেতন নাগরিকরা বলছেন, সুমনের মতো অপরাধীরা যদি এভাবেই বহাল তবিয়তে চলাফেরা করে, তবে যুব সমাজ আরও বিপথে যাবে।তারা জোর দাবি জানাচ্ছেন, প্রশাসন যেন অবিলম্বে সুমনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে এমন ‘অদৃশ্য রক্ষাকবচ’ ভেঙে দিতে হবে। আইনের চোখে সবাই সমান—এই বার্তাটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।এমনকি এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরো জানান,প্রশাসন যদি এই ইয়াবা সম্রাট সুমনকে অবিলম্বে গ্রেফতার না করে তাহলে তারা মানববন্ধন করা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে জানান।( চলবে)