দেশজুড়ে

১২ বছরেও সম্পন্ন হয়নি কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান বাস্তবায়ন কার্যক্রম

ডেস্ক রিপোর্ট

২৮ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:৩৭:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

সাগরকন্যা কুয়াকাটার জাতীয় উদ্যান ঘোষণার ১২ বছর পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংশোধন আইন ১৯৭৪ এর ধারা ২৩ (৩) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী জেলাধীন সংরক্ষিত বনের কুয়াকাটা ইকোপার্ক বনাঞ্চল এলাকার ১৬১৩ হেক্টর সংরক্ষিত বন এলাকা ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই জাতীয় উদ্যানের অর্ধেকের বেশি অংশ ধ্বংশ হয়ে গেছে।

দেখা গেছে, কুয়াকাটা ইকোপার্কের স্থলে লেখা হয়েছে জাতীয় উদ্যান। কিন্তু বাস্তবে এর কোন কার্যক্রম নেই। এখন পুরো এলাকার অর্ধেকের বেশি অংশ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। ২০১০ সালে ভূমি সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার এক চিঠিতে আন্ধারমানিক নদীর মোহনা থেকে গঙ্গামতি সৈকতের পাড় পর্যন্ত এবং ওয়াপদা বেড়িবাঁধের বাইরে সাগরপাড় পর্যন্ত এলাকা জাতীয় উদ্যানের অধীভূক্ত করে। কিন্তু বর্তমানে জাতীয় উদ্যান এলাকার বনাঞ্চল সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। যা অবশিষ্ট আছে, তাও কেটে উজাড় করা হয়েছে। এত কিছুর পরও কয়েক দফা কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। এখন আর এসব এলাকায় পর্যটকও আসে না। কারন সব বন উজাড় হয়ে গেছে।

তবে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ঘোষনার পর থেকে স্থানীয় সমাজকর্মী এবং পরিবেশবিদরা নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছিল বনটি রক্ষার জন্য। পটুয়াখালী বন অধিদপ্তরে চিঠিও দিয়েছিল তারা। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় বন অধিদপ্তর থেকেও সামনে এগুতে পারেনি। পটুয়াখালী বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এমন তথ্য দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, পটুয়াখালীর অনেক রেঞ্জ অফিসার জানেনই না কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান এর ব্যাপারে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজকর্মী মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, পূর্বে বন কর্মকতারা কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান রক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করেছিল। কিন্তু বিভিন্ন অযুহাত এবং বনদস্যুদের কারনে জাতীয় উদ্যান রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বনের কিছু অংশ নিজ নামে দলিল করে চাষের জমি করেছে। এছাড়াও নির্বিচারে তারা বন উজার করছেন।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content