জাতীয়

শ্রমিকের সমাবেশে পুলিশের হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১১:০০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

জিরানি বাজার, কাশিমপুর, গাজীপুর

প্রেস রিলিজ
পুলিশের হামলায় বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু সহ-১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।সংগঠনের পুর্বঘোষিত শ্রমিকের ২২ হাজার টাকা ঘোষণা করা সহ নিত্যপ্রজনীয় দ্রব্য মূল্য দাম কমানোর দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে নেতারা সহ শ্রমিকেরা জমায়েত হয়, জীরানি, কাশিমপুর, গাজিপুর।সমাবেশ শুরু করতেই পুলিশের নানা বাধাবিগ্ন সৃষ্টি করে শ্রমিক ও নেতাদের বাধা দিতে থাকে পুলিশ এর মধ্য দিয়ে সমাবেশে ব্যানার নিয়ে নেতারা বক্তব্য শুরুতেই বিনাউস্কানিতে পুলিশ এলোপাতারি ভাবে লাঠিপেটা
করে সমাবেশ পন্ড করে দেয় পুলিশ।এবং সংগঠনের ব্যানার ছিনিয়ে নেয় পুলিশ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় এক বিবৃতি বলেন শ্রমিকের ন্যূনতম ইসু নিয়ে যদি সভা সমাবেশ না করা যায় তাহলে দেশের সাংবিধানিক অধিকার থাকলো না।শিল্প পুলিশ প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে বেশিরভাগ শিল্পপুলিশ যুক্ত। এরকম শান্তিপুর্ন মিটিং মিছিল সভা সমাবেশে পুলিশ বাধা দিলে সকল শ্রমিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন জোরদার করা হবে।তদরুপঃ এই পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল বিকাল ৪ ঘটিকায় প্রতিবাদ সভা করা শ্রীপুর এএরহমান প্লাজার সামনে,আশুলিয়া সাভার ঢাকা।বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর পক্ষ হইতে একেই দাবীতে নানা কর্মসূচী চলমান থাকবে।
সংগঠনের শ্রমিকের দাবীনামাঃ
**গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ৭০ভাগ মুল মজুরী সহ ন্যূনতম মজুরী ২২০০০/-হাজার টাকা এবং অবিলম্বে পোষাক খাতে মজুরী বোর্ড পূর্নঃগঠন সহ ১০ দফা বাস্তবায়ন কর।
**প্রত্যেক কারখানায় কলোনী নির্মান করে সকল শ্রমিকের বাসস্থান নিশ্চিত কর।
**শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমবান্ধব শ্রম আইন প্রনয়ণ করতে হবে।
**সকল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত কর।
**তাজরীন,রানা প্লাজা, সেজান জুসসহ সকল কাঠামোগত হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত কর।
**কারখানা শ্রমিকদের জন্য কোম্পানির খরচে যাতায়াত ব্যাবস্থা চালু কর।
**সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের অধিকার নিশ্চিত কর।
**মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস কর।শ্রমিক স্বার্থবিরোধী নিপীড়নমূলক সকল কালাকানুন বাতিল কর।
**প্রতিটি শিল্প এলাকায় ১০০শয্যা বিশিষ্ঠ পৃথক শ্রমজীবী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা কর।
**অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content