রাজনীতি

বিএনপি নেতাদের লজ্জা পাওয়া উচিত: যুবলীগ চেয়ারম্যান

ডেস্ক রিপোর্ট

২৮ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:১৪:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপির নেতারা যখন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বলেন তখন তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত এবং এদেশের মানুষের কাছে মাফ চাওয়া উচিত।

শহিদ শেখ জামালের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক আবেদ খান। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশ বলেন, শেখ জামাল মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একজন সাহসী বীরযোদ্ধা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত সেনা অফিসার। বঙ্গবন্ধু তার সেনা অফিসারদেরকেও সন্তানদের মতোই ভালোবাসতেন। সেই সন্তানতুল্য একদল উশৃঙ্খল সেনা কর্মকর্তাদের হাতেই তার পুত্র লে. জামালের ও তার নিজের প্রাণ যেতে হলো। আজ শেখ জামালের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের অযুত ভালোবাসা, গর্ব ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পেশাগতভাবে দক্ষ ও চৌকস বাহিনী হিসেবে। আজকের এই দিনে একজন অকালপ্রয়াত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা, বন্ধু-অন্তপ্রাণ ও দুঃসাহসিক তরুণের কথা স্মরণ করি বিনম্র শ্রদ্ধাভরে।

তিনি বলেন, এই মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারের রক্তপাত যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা করেছিল, তাদের সেনা আইনে বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সেই সময়ের সেনাপ্রধান সফিউল্লাহ ও উপসেনা প্রধান জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানতো শেখ জামাল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তার প্রমাণ পাওয়া যায় জিয়ার পরবর্তী কার্যকলাপের মধ্যেই। এই সেনা সদস্যকে (শেখ জামাল) সেনাবাহিনীর যে সদস্যরা হত্যা করেছিল তাদের সেনা আইনে বিচার না করে জিয়ার অবৈধ সরকার খুনিদের পুরষ্কৃত করে। সেই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার করা যাবে না বলে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে জিয়াউর রহমানের পার্লামেন্ট। খুনিদের বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়, দুজন খুনিকে জনগণের ভোট চুরি করে জাতীয় সংসদে সদস্যপদ দেওয়া হয়। এমনকি খুনিদেরকে দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ করে দেয়।

পরশ বলেন, জিয়াউর রহমান সংবিধান, গণতন্ত্র এমনকি সেনা আইন কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চালু করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, শেখ জামালসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের রক্তে রঞ্জিত এই জিয়াউর রহমানের হাত। সুতরাং জিয়াউর রহমানের বিএনপির নেতারা যখন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বলে, তখন ওদের লজ্জা পাওয়া উচিত এবং এদেশের মানুষের কাছে মাফ চাওয়া উচিত ওদের অন্যায় এবং জাতির সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি আজকের প্রজন্মের সময়ের দাবি। কাজেই আমি আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে এই দাবি ব্যক্ত করছি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content