দেশজুড়ে

বাহারছড়া জনগণের আস্থা খোকনের বিরুদ্ধে, ৮ইউপি’র গল্পগুজবের মধ্যদিয়ে অনাস্থার চিঠি।

ডেস্ক রিপোর্ট

১৫ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:৫০:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

 

টেকনাফ অফিস

টেকনাফের বাহারছড়া ইউপি’র গুটি কয়েক সদস্যদের দেওয়া জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অনাস্থাপত্রটি সম্পুর্ন অযৌক্তিক ও মনগড়া গল্পগুজব বলে জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন।

বুধবার (১২ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অনাস্থাপত্রটি পাঠান তারা,এই চিঠিতে ৬টি অনিয়মের কথা উল্লেখ করলে ও বাস্তবতার কিছু মিল নেই, অবাস্তব মনগড়া গল্পগুজব,বলে জানান ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি হুমায়ুন কাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে ৮ ইউপির আনিত অভিযোগের একটা ও গ্রহণযোগ্য নয়, বরং অনাস্থাকারী ইউপিদের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড ও বিজিএফ কার্ড দেওয়ার নামে, প্রতি ওয়ার্ডের ৩শ থেকে ৪শ জনের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বাহারছড়া ইউনিয়নের প্রতি গলিতে মাইকিং করে নিষেধ করা হয়েছে, যাদের কাছে টাকা দেওয়া হয়েছে এসব টাকা ফেরত নিতে এবং নতুন কোন টাকা-পয়সা না দিতে।
এদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে যা বলা হয়েছে, উল্লেখ্য তাদের অনাস্থা‌র ইস্যু হিসেবে,
সময়’মতো, মোবাইল না ধরার, এটি কোন অভিযোগে পড়ে না।
কোন ইউপি সদস্য কল দিলে কোথায় জিজ্ঞেস করলে প্রতিত্তোরে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে, এটি বানোয়াট‌।
প্রকল্প আত্মসাত, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
সমম্বয় মিটিং না করা, সহ ৬ টি অভিযোগের একটা ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
এই ৬টি অভিযোগের কোনটাই সত্য নয় বরং তাদের নেওয়া জনপ্রতি ২ হাজার টাকা, তাদের চাউল নির্দিষ্ট ব্যাক্তিদের কাছে পৌঁছে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।
অনাস্থা প্রস্তাবকারী সদস্যরা হলেন-১ নং ওয়ার্ডের আবদুল হক,২ নং ওয়ার্ডের শফিউল কাদের,৩ নং ওয়ার্ডের আমান উল্লাহ,৪ নং ওয়ার্ডের হাফেজ আহমদ, ৮ নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলাম,৯ নং ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ এবং সংরক্ষিত ৪,৫,৬ মহিলা আসনের সদস্য মোবিনা খাতুন ও ৭,৮,৯, আসনের খালেদা বেগম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, দরিদ্রদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে আসা ভিজিডি ভিজিএফ কার্ড নিয়ে অনেক মেম্বার বাণিজ্য করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তা জেনে প্রকৃত দরিদ্র পরিবারে আমি নিজ উদ্যোগে কার্ড পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। এতে তাদের আশাভঙ্গ হওয়া কয়েকজন মেম্বার মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং সংসদ সদস্যের বসার কথা হয়েছে। তাদের দেওয়া অভিযোগ পুরোটাই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক গল্পগুজব।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content