লাইফস্টাইল

রোজায় ইমিউনিটি বাড়াতে প্রতিদিন যা খাবেন

ডেস্ক রিপোর্ট

২১ মার্চ ২০২৩ , ৬:২০:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ আঃ রহিম জয়
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্ট

শরীর সুস্থ-সবল রাখতে প্রতিদিন যতই ব্যায়াম করুন না কেন, খাওয়াদাওয়াটাও কিন্তু ঠিকভাবে করা জরুরি। তাই রোজায় ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকলে তবেই বিভিন্ন রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে। এই সময় দীর্ঘক্ষণ আমরা না খেয়ে থাকি। তাই আমাদের শরীরে সব রকমের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হয় এমন খাবার খাওয়া উচিত। এমন কিছু ইমিউনিটি-বুস্টিং সুপারফুড রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। তাই চলুন জেনে নিই রোজায় প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় কী কী খাবার রাখবেন–

তরমুজ
শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি বহু রোগ থেকেও সুরক্ষা দেয় তরমুজ। এই ফলের প্রায় ৯০ শতাংশই পানি। শরীর হাইড্রেট রাখে এবং এনার্জিও বাড়ায়। এ ছাড়াও তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন, ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েড।

কালো জাম
কালো জামে প্রায় ৮০ শতাংশ জল এবং ১৬ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। ভিটামিন সি, পলিফেনল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে খেতে পারেন কালো জাম।

আম
ফলের রাজা আম। বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে আমে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর উচ্চ ফাইবার উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আমপান্নায়ও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ম্যাঙ্গিফেরিন থাকে, যা সানস্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

লাউ
লাউতেও প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এ ছাড়া লাউয়ে রয়েছে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, আয়রন, ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবার। এই সমস্ত পুষ্টিগুণই ইমিউনিটি বাড়াতে এবং হজমে সহায়তা করে।
ডাব
ডাবের পানিতে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট অত্যন্ত কম। ডাবে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম, যা আমাদের শরীরে খনিজ সরবরাহ করে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে।

তুলসী বীজ
তুলসী বীজে রয়েছে আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড (ALA) এবং ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং হজমে সহায়তা করে।

টক দই
টক দই কেবল চমৎকার প্রো-বায়োটিক খাবারই নয়, এটি ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনেরও ভালো উৎস, যা দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। এ ছাড়াও টক দই হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা ও ওজন কমায়।

ছাতু
বেসন থেকে তৈরি হওয়া ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। এটি পানীয় হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে, আবার ছাতুর লাড্ডু ও পরোটা বানিয়েও খেতে পারেন।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

লোহাগড়ায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন ২০২৪ কারা হচ্ছেন সদস্য? কে হচ্ছেন সভাপতি?প।

তো এই পর্যন্ত! বিদায় ফুটবল

শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি শীত আসলেই মনে হয়ে যায় শীতের নানা রকম মুখোরোচক পিঠার কথা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই নেত্রকোনা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতে পিঠা বানানো, বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিঠা ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নেত্রকোনা জেলার পৌর শহরের থানারমোড়, মুক্তারপাড়া মাঠ, বড়বাজার, সাতপাই কালিবাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারের মোড়ে এবং গ্রামের দোকানে মাটির চুলায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা। বেশির ভাগই চোখে পড়ে ভাপা ও চিতই পিঠা। শীত আসলেই এসব দোকান বসে। পিঠা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি লাগে, এ ছাড়া কিছু গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়েই শুরু করা যায় ব্যবসা। তারা আরও বলেন, শীত মৌসুমে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি হয় বেশি। বিকেল থেকে বেশ রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে পিঠার দোকানগুলোতে। জেলার পৌর শহরের থানার মোড়ে ভাপা পিঠা খেতে আসা আমহোসেন বলেন, চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। গরম গরম ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণ বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পৌর শহরের পিঠা বিক্রেতারা জানান, বেচা-বিক্রি বেশ ভালোই। সন্ধ্যায় ক্রেতাদের আগমন ঘটে অনেক, ফলে চাহিদানুযায়ী বানানো হয়ে থাকে। গরমে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীতের মৌসুমে তিনি ভাপা পিঠা ও সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনযাপন করছেন। তারা আরও বলেন, চিতই পিঠার সঙ্গে ধনে পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করেন তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন এসব পিঠার এক একটির দাম নেওয়া হয় ১০ টাকা এবং ভাপা পিঠার দাম নেওয়া হয় ১৫ টাকা। সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খান। অনেকে আবার বাড়ির জন্য কাগজে করেও নিয়ে যান এসব পিঠা। এ বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সেলিম মিঞা জানান, পথেঘাটে অনেক পিঠার দোকান বসে। দোকানদার অবশ্যই দুহাত ধুয়ে পিঠা তৈরি করবেন। রাস্তার পাশের দোকান ঢেকে রাখা প্রয়োজন। অপরদিকে, ক্রেতারা হাত ধুয়ে পিঠা খাবেন। কখনোই বাসি ও পচা পিঠা খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস্ট্রিকসহ ডায়রিয়া হতে পারে। রিপন কান্তি গুণ ১৩/১২/২০২৩

ইউটিউবে সহজ উপায়ে ভিডিও দেখুন ইন্টারনেট ছাড়াই

পদ ফেরত চেয়ে উচ্চ আদালতে ডিপজল

খেজুর কেনার আগে মনে রাখবেন যে ৪ বিষয়

Sponsered content

আরও খবর: লাইফস্টাইল

তো এই পর্যন্ত! বিদায় ফুটবল

__চোখের ইশারা__ আহমেদ আশিক

__চোখের ইশারা__ আহমেদ আশিক

পদ ফেরত চেয়ে উচ্চ আদালতে ডিপজল

লোহাগড়ায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন ২০২৪ কারা হচ্ছেন সদস্য? কে হচ্ছেন সভাপতি?প।

জেলাজুড়ে নতুন চালে ঘরে ঘরে ভাপা পিঠা তৈরীর উৎসব

শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি শীত আসলেই মনে হয়ে যায় শীতের নানা রকম মুখোরোচক পিঠার কথা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই নেত্রকোনা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতে পিঠা বানানো, বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিঠা ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নেত্রকোনা জেলার পৌর শহরের থানারমোড়, মুক্তারপাড়া মাঠ, বড়বাজার, সাতপাই কালিবাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারের মোড়ে এবং গ্রামের দোকানে মাটির চুলায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা। বেশির ভাগই চোখে পড়ে ভাপা ও চিতই পিঠা। শীত আসলেই এসব দোকান বসে। পিঠা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি লাগে, এ ছাড়া কিছু গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়েই শুরু করা যায় ব্যবসা। তারা আরও বলেন, শীত মৌসুমে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি হয় বেশি। বিকেল থেকে বেশ রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে পিঠার দোকানগুলোতে। জেলার পৌর শহরের থানার মোড়ে ভাপা পিঠা খেতে আসা আমহোসেন বলেন, চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। গরম গরম ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণ বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পৌর শহরের পিঠা বিক্রেতারা জানান, বেচা-বিক্রি বেশ ভালোই। সন্ধ্যায় ক্রেতাদের আগমন ঘটে অনেক, ফলে চাহিদানুযায়ী বানানো হয়ে থাকে। গরমে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীতের মৌসুমে তিনি ভাপা পিঠা ও সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনযাপন করছেন। তারা আরও বলেন, চিতই পিঠার সঙ্গে ধনে পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করেন তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন এসব পিঠার এক একটির দাম নেওয়া হয় ১০ টাকা এবং ভাপা পিঠার দাম নেওয়া হয় ১৫ টাকা। সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খান। অনেকে আবার বাড়ির জন্য কাগজে করেও নিয়ে যান এসব পিঠা। এ বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সেলিম মিঞা জানান, পথেঘাটে অনেক পিঠার দোকান বসে। দোকানদার অবশ্যই দুহাত ধুয়ে পিঠা তৈরি করবেন। রাস্তার পাশের দোকান ঢেকে রাখা প্রয়োজন। অপরদিকে, ক্রেতারা হাত ধুয়ে পিঠা খাবেন। কখনোই বাসি ও পচা পিঠা খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস্ট্রিকসহ ডায়রিয়া হতে পারে। রিপন কান্তি গুণ ১৩/১২/২০২৩