২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৮:৫৯:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানকে ঘিরে চিনি, ছোলাসহ কিছু খাদ্যপণ্যের অতিরিক্ত দাম বেড়েছে। পণ্যে নিয়ে চিন্তা কাটছেনা নারী-পুরুষ ক্রেতাদের। রমজানের প্রায় এক মাস আগে থেকেই চিনির বাজার অস্থির। ছোলার দামও পাইকারি-খুচরায় বেড়েছে। এ নিয়ে বিপাকে নিন্ম ও মধ্য আয়ের লোকজন।
কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত দামে বিকিকিনি হচ্ছে নিত্যপন্য সামগ্রী। বাজারের অনেক দোকানে প্যাটেকজাত চিনি মিলছেনা। ৭৫ টাকা দামের খোলা চিনি বর্তমানে ১১৫/২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। চিনির এ দূরাবস্থার সমাধান হয়নি। অন্যদিকে ছোলার দাম কেজি প্রতি ২০/২৫ টাকা বেড়েছে। বিগত সময়ে ৭৫ টাকার ছোলা বর্তমানে ৯০/১শত টাকায় বিক্রি করছে, ৪৫ টাকার মটর (বুট) বর্তমানে ৭০ টাকা, ১৬০ টাকার তেল বর্তমানে ১৯০ টাকায় বিক্রি করছে বিক্রেতারা। গ্রামগঞ্চের দোকান সমুহে আরো ৪/৫ টাকা বৃদ্বিতে বিক্রি করা হচ্ছে।
রমজানের আগেই খাদ্যপণ্যের তিনগুন দামে বিপাকে পড়ছে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের নিম্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষরা। বর্তমান সময়ে নিত্যপণ্যের দামে তাদের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রয়োজন সংখ্যক কেনার ইচ্ছা থাকা সত্তেও অর্থের অভাবে কিনতে পারছেনা সাধারন ক্রেতারা। প্রতিনিয়তই বৃদ্বি পাচ্ছে এসব পণ্যের দাম। দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল লোকজনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে খাদ্যসামগ্রী। নেই কোন তদারকি।
দুয়েক ব্যবসায়ী জানান, যে দামে চট্রগ্রাম থেকে পাইকারী কিনে আনা হয়, তার থেকে অল্প লাভে খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে ছোলা,চিনি ও মটরসহ নিত্যপণ্য সামগ্রী। তবে বর্তমানে মালামালের দাম চড়া।
সচেতন মহল ও ক্রেতারা জানান, অভিযান পরিচালনা করে নিত্যপণ্যে সামগ্রীর দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।