বোয়ালখালী উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ ইকবাল উদ্দিন ফারুকীর উপর অতর্কিত হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গত ১১ এপ্রিল বিকাল আনুমানিক ০৫.৩০ ঘটিকার সময় বোয়ালখালী থানাধীন ০৫ নং সারোয়াতলী ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডই ফারুকী পাড়া সারোয়াতলী জামে মসজিদের সামনের রাস্তার উপর যুবলীগ নেতা মোঃ ইকবাল উদ্দিন ফারুকীকে ডাকাত মাহাবুব আলম ও তার গ্যাং রা মৃত্যুর উদ্দেশ্যে অতর্কিতভাবে হামলা করে।
অন্যান্য হামলাকারীরা হচ্ছে নুরুল ইসলাম, আব্দুল হক, শফিউল আলম, মোঃ আরাফাত।
যুবলীগ নেতা মোঃ ইকবাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, বিবাদীরা এলাকায় দাঙ্গাবাজ, আইন অমান্যকারী ও খারাপ প্রকৃতির মানুষ।তারা এলাকায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকে। তাহারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল বিকাল অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকার সময় বোয়ালখালী থানাধীন ০৫ নং সারোয়াতলী ইউনিয়নের ০১ নং আই ফারুকী পাড়া পারোয়াতলী জামে মসজিদের সামনের রাস্তার উপর আমি নামাজ শেষে মসজিদ হইতে বাহির “হইলে আমার পথরোধ করত আটকাইয়া আমাকে উপর্যুপুরী কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া ও লাঠি- সোঠা দ্বারা আঘাত করিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে এবং আমার প্যান্টের বাম পকেটে থাকা নগদ ৯,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়। আমার শৌরচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে আহত অবস্থায় বিবাদীদের কবল হইতে আমাকে রক্ষা করে।
তিনি আরো বলেন বিবাদীরা উক্ত বিষয় নিয়া আমি যদি কোনরূপ বাড়াবাড়ি মামলা মোকদ্দমা করি তাহলে আমাকে প্রাণে হত্যা করিবে, মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করিবে, আমাকে এলাকায় থাকতে দিবে না মর্মে প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে আমি আশপাশের লোকজনের সহায়তায় বর্ণিত ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধারপূর্বক বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পিয়া চিকিৎসা করি।
ইকবাল উদ্দিন ফারুকীর উপর যে অতর্কিতভাবে হামলা হয়েছে এ ব্যাপারে মাহাবুব আলমের বক্তব্যে জানার জন‍্য যোগাযোগ করা হলে তিনি চরম উত্তেজিত হয়ে বলেন সেই ঘটনার সাথে আমি সম্পৃক্ত নয় এগুলো পুরো মিথ্যা বানোয়াট।এই গঠনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না এবং গত ১৩ এপ্রিল ইকবালের সাথে আমার দেখা হয়নি ।আপনারা আমার নামে নিউজ করেন যা করেন সমস্যা নাই তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
যুবলীগ নেতা মোঃ ইকবাল উদ্দিন ফারুকীর উপর ঘটে যাওয়া ন‍্যাক্কারজনক ঘটনা সম্পর্কে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এলাকার সাধারণ জনগণ বলেন,আমরা প্রাণ ভয়ে,অশান্তিতে আতঙ্কে বসবাস করছে। ডাকাত মাহাবুব আলম ও তার সন্ত্রাস বাহিনীর শিকারের ভয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এলাকায় মদ,ইয়াবা,গাজা ব্যবসায়ীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

সাধারণ জনগণ বলেন আরও বলেন ইকবাল একজন সাদা মনের মানুষ , রয়েছে তার কর্মের অনেক গুন, যে গুনের কারনে তিনি পছন্দের সর্বজন গ্রহনযোগ্য তৃনমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্থরের জনসাধারনে মাঝে তিনি জনপ্রিয়।দলের সকল পর্যায়ের নেতা ও কর্মীদের কাছে ইকবাল উদ্দিন দলের একজন সৎ, যোগ্য, বিচক্ষন, ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতা হিসেবে পরিচিত।
আমরা অত্যন্ত বিস্মিত, হতবাক এবং স্তব্ধ। এ হামলার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।