“রংপুর গংগাচড়ার চেংমারীতে জিপিএ

রায়পুরা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী তাজ তাহমিনা মানিক ব্যপক গণসংযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে হাঁসের সাথে শত্রুতা, কপাল পুড়ল খামারির

ভূরুঙ্গামারীতে হালখাতা করেও ধার দেওয়া পুরো টাকা ফেরত পায়নি শিক্ষক আব্দুল আওয়াল।

সোনাহাটে ঘুন্টিঘর মহাসড়কে ট্রাক চাপায় ১ জন নিহত ও ১ জন আহত।

ভোট পাগল আব্দুল হাই আবারো হেরে গেলেন

আন্ধারীঝাড়ে ধারের টাকা তুলতে হালখাতা এস এম মনিরুজ্জামান, স্ট্যাফ রিপোর্টারঃ ধারের টাকা তুলতে ঋণগ্রহীতাদের কাছে হালখাতার চিঠি দিয়েছেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় এম এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়াল। এরইমধ্যে সবার কাছে হালখাতার চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। আগামী ১২ জানুয়ারি হালখাতা অনুষ্ঠিত হবে। হালখাতার একটা চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে আব্দুল আউয়াল চিঠিতে লিখেছেন, ‘আপনাদের টাকা হাওলাত দিয়ে আমি আনন্দিত। আগামী ১২ জানুয়ারি হালখাতার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত হালখাতায় আপনি উপস্থিত হয়ে ঋণ পরিশোধ করে ঋণমুক্ত থাকুন।’ ধারের টাকা পরিশোধ করতে ৩৫ জন ঋণগ্রহীতাকে চিঠি দিয়েছেন ওই শিক্ষক। এসব মানুষের মধ্যে বেশিরভাগই তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনসহ কাছের মানুষ। হালখাতার চিঠি পাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘হালখাতার চিঠি পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হলেও পরে বুঝতে পেরেছি ধারের টাকা ফেরত দিতে দেরি হয়েছে। আশা করছি হালখাতায় তার টাকা পরিশোধ করে দেবো।’ হালখাতার আয়োজক শিক্ষক আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘যারা টাকা ধার নিয়েছেন তাদের সঙ্গে প্রতিদিন ওঠাবসা রয়েছে। লজ্জায় তাদের কাছে টাকা ফেরতও চাইতে পারি না। তারাও দেওয়ার নাম করে না। পরে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে হালখাতার ধারণা মাথায় আসে। এতে তাদের সঙ্গে মনোমালিন্যও হলো না, আবার টাকা ওঠার সম্ভাবনা শতভাগ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৩৫ জনকে চিঠি দিয়েছি। এদের মধ্যে কেউ তিন বছর আগে টাকা নিয়েছেন। সবমিলিয়ে আমার তিন লাখ টাকার মতো ধার দেওয়া আছে। চিঠি পেয়ে অনেকে টাকা পরিশোধ করতে উদ্যোগ নিয়েছেন।

শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি শীত আসলেই মনে হয়ে যায় শীতের নানা রকম মুখোরোচক পিঠার কথা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই নেত্রকোনা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতে পিঠা বানানো, বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিঠা ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নেত্রকোনা জেলার পৌর শহরের থানারমোড়, মুক্তারপাড়া মাঠ, বড়বাজার, সাতপাই কালিবাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারের মোড়ে এবং গ্রামের দোকানে মাটির চুলায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা। বেশির ভাগই চোখে পড়ে ভাপা ও চিতই পিঠা। শীত আসলেই এসব দোকান বসে। পিঠা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি লাগে, এ ছাড়া কিছু গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়েই শুরু করা যায় ব্যবসা। তারা আরও বলেন, শীত মৌসুমে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি হয় বেশি। বিকেল থেকে বেশ রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে পিঠার দোকানগুলোতে। জেলার পৌর শহরের থানার মোড়ে ভাপা পিঠা খেতে আসা আমহোসেন বলেন, চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। গরম গরম ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণ বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পৌর শহরের পিঠা বিক্রেতারা জানান, বেচা-বিক্রি বেশ ভালোই। সন্ধ্যায় ক্রেতাদের আগমন ঘটে অনেক, ফলে চাহিদানুযায়ী বানানো হয়ে থাকে। গরমে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীতের মৌসুমে তিনি ভাপা পিঠা ও সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনযাপন করছেন। তারা আরও বলেন, চিতই পিঠার সঙ্গে ধনে পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করেন তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন এসব পিঠার এক একটির দাম নেওয়া হয় ১০ টাকা এবং ভাপা পিঠার দাম নেওয়া হয় ১৫ টাকা। সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খান। অনেকে আবার বাড়ির জন্য কাগজে করেও নিয়ে যান এসব পিঠা। এ বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সেলিম মিঞা জানান, পথেঘাটে অনেক পিঠার দোকান বসে। দোকানদার অবশ্যই দুহাত ধুয়ে পিঠা তৈরি করবেন। রাস্তার পাশের দোকান ঢেকে রাখা প্রয়োজন। অপরদিকে, ক্রেতারা হাত ধুয়ে পিঠা খাবেন। কখনোই বাসি ও পচা পিঠা খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস্ট্রিকসহ ডায়রিয়া হতে পারে। রিপন কান্তি গুণ ১৩/১২/২০২৩

সীমান্ত উপজেলা কলমাকান্দা হানাদার মুক্ত দিবস আজ

পরবর্তী