১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৮:০৪:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
স্বৈরাচারীকে পৃথিবী প্রশ্রয় দেয় না
জহিরুল ইসলাম ইসহাকী
পৃথিবীর ইতিহাস স্বৈরাচারের নির্মম পরিণতির গল্পে পরিপূর্ণ। একসময় যারা নিজেদের ঈশ্বরসুলভ ক্ষমতার অধিকারী ভেবেছিল, ইতিহাসের নির্লজ্জ অথচ নিরপেক্ষ কলম তাদের নাম কেটে দিয়েছে ধুলোর চাদরে। আজ তাদের কবরের পাশে দাঁড়ালে শীতল বাতাসে কেবল করুণ আত্মচিৎকার শুনতে পাওয়া যায়—একটি নির্মম সত্যের স্বীকৃতি, “স্বৈরাচারীকে পৃথিবী প্রশ্রয় দেয় না!”
প্রত্যেক স্বৈরাচারী একসময় নিজেকে অজেয় ভাবত। ফেরাউন নিজের জন্য নদীর মাঝে প্রাসাদ গড়েছিল, নমরূদ দাবী করেছিল নিজেকে সৃষ্টিকর্তা, হিটলার নিজের জাতিকে শ্রেষ্ঠ ভাবত, আর মুসোলিনির অহংকার ছিল দিগন্তজোড়া। কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম তাদের প্রত্যেককে নির্মমভাবে ধ্বংস করেছে। ফেরাউন ডুবে মরেছে, নমরূদ পতঙ্গের আক্রমণে নিঃশেষ হয়েছে, হিটলার গুলির আঘাতে আত্মহত্যা করেছে, আর মুসোলিনির দেহ ঝুলেছিল নগরীর রাস্তায়।
প্রকৃতির বিধান : জুলুম কখনো টেকে না
স্বৈরাচারীদের পতন অবধারিত। কারণ, জুলুম কখনো চিরস্থায়ী হয় না। একদিকে সাধারণ জনগণের অসহায় কান্না, অন্যদিকে ন্যায়ের প্রতিবাদ—এই দুইয়ের সম্মিলনে যে ঝড় ওঠে, তা সাম্রাজ্য ভাসিয়ে নিয়ে যায়। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিটি প্রতিবাদী কণ্ঠ হলো ইতিহাসের এক একটি অগ্নিশিখা, যা অবশেষে জ্বালিয়ে দেয় অবিচারের অন্ধকার দুর্গ।
মানবতার চেতনা ও ন্যায়ের জয়
পৃথিবীর মানচিত্র বদলেছে বারবার, কিন্তু যে সত্য চিরন্তন—তা হলো ন্যায়বিচারের জয়। ন্যায়ের কণ্ঠ কখনো স্তব্ধ হয় না, আর স্বৈরাচারীর পরিণতি নিশ্চিত ধ্বংস। পৃথিবী সবসময়ই সত্যের পথে দাঁড়িয়েছে, আর মাটির নিচে নিক্ষিপ্ত হয়েছে দানবীয় শাসকদের স্মৃতি।
শেষ কথা
স্বৈরাচারীরা নিজেদের অমর মনে করে, কিন্তু ইতিহাসের পাতায় তারা কেবলই ঘৃণা ও ধ্বংসের প্রতিচ্ছবি। পৃথিবী কখনো স্বৈরাচারকে প্রশ্রয় দেয় না, বরং সময়ের নির্মমতায় তারা ধুলোর সাথে মিশে যায়। মানবতার আলো চিরকালই অন্ধকারকে পরাজিত করেছে, আর ভবিষ্যতেও করবে।
“স্বৈরাচারীর পরিণতি ধ্বংস, কারণ পৃথিবী কখনো জুলুমের সাথে আপস করে না!”