ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ জুন ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
  7. ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ
  8. ঈদগাঁও
  9. কক্সবাজার
  10. কুড়িগ্রাম
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. চাকরি
  14. জাতীয়
  15. ঝিনাইদহ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কেমন কাটলো নজরুলিয়ানদের ঈদ

Developer Zone
জুন ২০, ২০২৪ ৬:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কেমন কাটলো নজরুলিয়ানদের ঈদ

আসাদুল্লাহ আল গালিব, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।

সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের আনন্দে ভাসছে দেশ। গরমে হাঁসফাঁস যখন শহুরে জীবন ঠিক তখনই স্বস্তির বৃষ্টি। ঈদের আনন্দে তাই যোগ হয়েছে বাড়তি উল্লাস। ঈদের বিশেষ মুহূর্তগুলোকে রঙিন করছেন সবাই। কেউবা ছবি তুলে, আবার কেউবা ভিডিও পোস্ট করে শেয়ার করছেন তাদের আনন্দের মুহূর্তগুলো। সেক্ষেত্রে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও যেন পিছিয়ে নেই। তারাও তাদের সুন্দর সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করছেন নিজ ফেসবুক ওয়াল থেকে।

ঈদ সমাজে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে। সব ভেদাভেদ ভুলে বুকে বুক মেলানোর মাধ্যমে এ সময় ভালোবাসায় সিক্ত হয় প্রতিটি হৃদয়। ঈদে পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে সময় কাটানোর একটা সুন্দর সুযোগ হয়। আনন্দের রোল বয়ে যায় সবার মধ্যে। ঈদ কেমন কেটেছে? জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজনের শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছেন আসাদুল্লাহ আল গালিব।

সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী সাফফাত ইসলাম সিহাব জানায়”ঈদ অনেক ভালো কেটেছে।পরিবারের সকলের সাথে ঈদের আলাদাই আনন্দ।দাদুর বাড়িতে সকালবেলা ঈদের নামাজ পড়েছি।
তার পর কুরবানির করেছি৷ বিকেলে আত্মীয় দের বাসায় গোস্ত দিয়ে এসেছি।তারপর চাচা চাচীদের সাথে, কাজিন দের সাথে রাতের খাবার খেয়েছি৷খুবই দারুণ অনুভূতি।এই সময়টুকু বার বার ফিরে আসুক।”

চলচ্চিত্র এবং গনমাধ্যম বিভাগের শিক্ষার্থী মহসিন শাহ তার ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গিয়া বলেন “আলহামদুলিল্লাহ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের ঈদ খুবই ভালোভাবে কেটেছে। ঈদের প্রকৃত আনন্দ হলো ঈদের নামাজে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পেরেছি পাশাপাশি সুন্দর ভাবে কুরবানির সম্পুর্ন করেছি।সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ হয়েছে। এ ছাড়া আমার আগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদ-পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হওয়ায় সব বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরেছি। ছোটবেলায় ঈদের আনন্দ খুঁজতাম নতুন জামা-কাপড়ে, ঈদের সালামি ও খেলনা কেনার মধ্যে। কিন্তু বয়স ও সময়ের পরিক্রমায় সেই আকাঙ্ক্ষা পরিবর্তন হয়ে এখন ছোটদের সালামি ও খেলনা কিনে দিয়ে সেই আনন্দ পাই এবং তাই করেছি। পরিশেষে, ঈদ আসে মানুষের সব ভেদাভেদ দূর করে ভ্রাতৃত্ব তৈরি করতে। তাই সবার ভ্রাতৃত্ব রক্ষা করা একান্ত কাম্য।”

বিশ্ববিদ্যালয়টির সংগীত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তাবাসসুম মেহেজাবিনের কাছে তার ঈদ অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান”আমার ঈদ প্রতিবারের মতোই আলহামদুলিল্লাহ ভালো কেটেছে।সবুজ প্রকৃতিতে মেঘলা দিনে উপভোগ করেছি দিনটিকে।সারাদিন ধরে, আমি উৎসমুখর পরিবেশ উপভোগ করেছি, রান্নাঘরে আমার মাকে বিশেষ খাবার তৈরি করতে সাহায্য করেছি। বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজন যারা বেড়াতে এসেছিল তাদের স্বাগত জানাই। দিনটি আনন্দ, কৃতজ্ঞতা এবং সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে ভরা ছিল কারণ আমরা দিনটিকে একসাথে উদযাপন করেছি।”

ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের আফরাজুর রহমান রাহাত জানায়”ইদ কেটেছে কিছুটা কসাই এবং কিছুটা কামলা হিসেবে।
ইদের দিন কোথায়ো ঘুরতে যেতে পারিনি, তা নিয়ে আফসোস ও নেই। কারণ পরিবার এর সাথে গরু এবং খাসি কুরবানি দেয়া নিয়েই আনন্দঘন সময় কেটেছে এবং ফেসবুক এর স্ট্যাটাস ” ইদের দিন বাপ চাচাদের মেজাজ বিনা কারণেই গরম থাকবে”
এই কথার সত্যতা পেয়েছি ইদের দিন।
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অনেক গুলো ঝারি সহ্য করতে হয়েছে। এবং তীব্র আনন্দের সহিত তাহা সহ্য করেছি এবং আসলেও প্রতিবার হা করে যেই পরিমান মাংস খাচ্ছি তা হোটেলে ২০০ টাকা দাম হবে। ৩ দিন যাবত মাংস খেয়ে যাচ্ছি। গরুর পায়া, ভুরি, কালা ভুনা, চুই ঝাল, খাসির রেজালা। কোনো কিছুই বাদ যায় নি। আমার মতো ভোজনরসিক দের ইদ হয়তো ভালোই যাচ্ছে। তবে এবারে পেটে একদম গন্ডগোল হয় নি।যাইহোক সকলের আগামী দিন গুলো ভালো কাটুক। শুভ কামনা”

একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বলেন”সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে ঈদুল আজহা। প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদুও ছিল একটু ব্যতিক্রম। সকালবেলা বন্ধুদের সঙ্গে ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ শেষ করে, কোরবানির পশুর জবাই শেষে, মাংস কাটা আমার কাছে কোরবানির ঈদের সবচেয়ে আনন্দের। আর তা এবছর মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে তখন এর অনুভূতি ছিল অন্য রকম। একদিকে ওপর থেকে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে শরীরে, অন্যদিকে মাংস কাটা সে এক বিস্ময়কর অনুভূতি।
মাংস কাটা শেষ করে বাসায় নিয়ে এলাম। তারপর বৃষ্টির মধ্যেই   গরিব-দুঃখীদের অংশ বুঝিয়ে দেওয়া এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে তা বিতরণ করলাম। মায়ের হাতের রান্না করা মাংস দিয়ে রুটি খাওয়া, যা ক্যাম্পাসে প্রচণ্ডভাবে মিস করি। বিকেলে বৃষ্টির জন্য কোথায় ঘুরতে যাওয়া না হলেও পরিবারের সবার সঙ্গে সুন্দর একটা সময় কাটিয়ে ছিলাম।
কোরবানি ঈদে ধনী-গরিবের মধ্যে যে সম্প্রীতি এবং সহানুভূতির মনোভাব সৃষ্টি হয়, তা সারা বছর বজায় রাখতে পারলে বছরের প্রতিটি দিন আনন্দের সঙ্গে কেটে যেত। তাই ঈদুল আজহার এই শিক্ষা আমাদের পুরো বছর ধরে রাখা উচিত।
সব মিলিয়ে প্রতি বছরের চেয়ে এ বছরের ঈদ ছিল সত্যিই ব্যতিক্রমধর্মী”

শেয়ার করুন: