অপরাধ

ভাটারায় কাইছার ও নবীয়ার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের দাবি এলাকাবাসীর।

ডেস্ক রিপোর্ট

২ মার্চ ২০২৩ , ১১:১৩:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নিজস্ব প্রতিবদেকঃ

থানায় একাধিক মামলা রয়েছে জিডিও। তারপরও তাদের ভয়ে তটস্থ এলাকাবাসী।

ভাটারা থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি এম কাইছার রহমান ও ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি নবীয়ার হোসেন বাহিনীর নিকট জিম্মি পুরো এলাকাবাসী।

এই বাহিনীর অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেকেই হামলা ও মামলার শিকার হয়েছে।

তাদের ভয়ে কথা বলে না নুরের চালা, বোটঘাট, সাঈদ নগরএলাকার সাধারণ মানুষ। আবার অনেকেই এলাকাও ছেড়েছেন। কিশোর গ্যাংয়ের গ্রুপ করে দাপিয়ে বেড়ানো এ বাহিনী এখন আতঙ্কের নাম।

কাইছারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে।কাইছারের গডফাদার হচ্ছেন নবীয়ার হোসেন।

এই বাহিনী ভাটারায় একটি কিশোর গ্যাং গড়ে তুলেছে।
বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশ
কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত
অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।

অভিযোগে জানা যায়, কাইছারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমিদখল, মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ করে।

তার এসব অপকর্মের সহযোগিতা করেন নবীয়ার হোসেন। ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আলীর আপন ছোট ভাই নবীয়ার হোসেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন নবীয়ার। এর আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।

এছাড়া একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কাইছার রহমান।

তাদের কাছে নিজ দলের নেতাকর্মীরাও জিম্মি হয়ে পড়েছে। এলাকায় কেউ
বাড়ি করতে গেলেই এই বাহিনীরকে চাঁদা দিতে
হয়। আরো জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বাছেকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেন নবীয়ার ও কাইছার।

কারণ ওই ওয়ার্ডটিতে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন নবীয়ারের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী।

এমনকি এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীদের শেল্টার দেন নবীয়ার।

এদিকে নুরের চালার বাসিন্দা শামীম বলেন, চাঁদার দাবিতে নবীয়ারের শেল্টার দেন নবীয়ার। এদিকে নুরের চালার বাসিন্দা শামীম বলেন, চাঁদার দাবিতে নবীয়ারের নেতৃত্বে তার জমিসহ অনেকের জমি দখল
করেছে কাইছার।

এই বাহিনীর অত্যাচারে
অতিষ্ঠি এলাকাবাসী। থানায় অভিযোগ করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। চাঁদাবাজি করে কাইছার এখন কোটিপতি। তাদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। একই এলাকার বাসিন্দা আরিফুর
রহমান বলেন, এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের একটি
গ্রুপ তারা তৈরি করেছে। এই গ্রুপটি বিভিন্ন স্থানে অপকর্ম করে বেড়ায়। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত।

তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। কিছুদিন আগে এক পরিবারের এক মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করলে ওই পরিবারকে তারা এলাকায় টিকতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে তারা এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে কাইছার রহমান বলেন,একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার
করছে।
রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করাই ওই চক্রের উদ্দেশ্য।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content