অপরাধ

রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোলায়মান মৃধার বিরুদ্ধে হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসার টিন বিক্রির অভিযোগ।।

রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোলায়মান মৃধার বিরুদ্ধে হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসার টিন বিক্রির অভিযোগ।।

নজরুল ইসলাম আলীমঃ-বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১২ নং রংগশ্রী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোলায়মান মৃধা এবং হাতুরে ফারুকের বিরুদ্ধে বোতরা বাজারের হেফজখানা ও নূরানী মাদ্রাসার টিন ও আসবাবপত্র সহ অর্থ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।সূত্র মতে ঐতিহ্যবাহী বোতরা বাজার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন হাফেজী ও নূরানী মাদ্রাসার টিনসেট ঘরটি রেমালের তান্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।এই সুবাধে ইউপি সদস্য সোলায়মান মৃধা এবং বোতরা বাজারে হাতুড়ি ডাক্তার ফারুক কাউকে না জানিয়ে উক্ত হেবজ খানা ও নূরানী মাদ্রাসার টিন সহ ঘরের ভিতরে রক্ষিত সকল আসবাবপত্র বিক্রি করে দেন এবং বিক্রয়কৃত নগদ অনুমানিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার লব্ধ অর্থ ইউপি সদস্য সোলায়মান মৃধা ও হাতুড়ে ডাক্তার ফারুক আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ সূত্র জানা যায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে,জনগনের দানে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি বহুদিন থেকেই সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছিলো।কিন্তু সোলায়মান মৃধা ইউপি সদস্য হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করার পর যদি পড়েন একের পর এক নানান কিসিমের অপরাধের সাথে। তিনি রক্ষক না হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া বেপরোয়া চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী,জবর-দখল করা সহ অর্থ গ্রাসে জড়িয়ে পড়ায় তার উপর থেকে এলাকাবাসী মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।নাম প্রকাশ করার না শর্তে স্থানীয় এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে জানান, কিছুদিন পূর্বে আসমান খান বাড়ী ও তারাবুনিয়া খালের উপর নির্মিত কালভার্ট ২টি মানসম্মত না করে তার রড, সিমেন্ট ও খোয়া নিজের ভবন নির্মানের কাজে ব্যাবহার করায় কিছুদিন যেতে না যেতেই খান বাড়ীর কালভার্টির জমাট খুলে পড়তে দেখা যায় যার কারনে সরকারি সম্পদ আজ ঝুকিপূর্ণ ও মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে।অপরদিকে স্থানীয় আর এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে জানান,বাকেরগঞ্জ পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নিকট আত্মীয় পরিচয় দিয়ে চলা অহংকারী এই ইউপি সদস্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহারে করনে এলাকাবাসী অতিষ্ট দিন দিন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।অভিযোগের সত্যতার বিষয় জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জের পৌর ময়ূর লোকমান হোসেন ডাকুয়া জানান,তিনি তার কোন আত্মীয় নহে তিনি আরো জানান তাহার নাম ভাঙ্গিয়ে যদি ইউপি সদস্য সোলায়মান মৃধা কোন অপরাধের সাথে জড়িয়ে থাকেন তাহলে তিনি প্রশাসনকে অবহিত করতে বলেন। জনগনের অর্থ ও সরকারি সম্পদ গ্রাসকারী নোভাতুর সোলায়মান মৃধা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে এলাকার সংক্ষুব্ধ জনগন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।(চলবে)

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content