অপরাধ

বোয়ালমারীতে মাটি টানা ট্রলি বন্ধের দাবিতে ইউএনও-র নিকট গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন নিরব

 

মুকুল বোস ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিভিন্ন স্থানের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে স্থানীয় ইটভাটায় বিক্রির হিড়িক চলছে। আর এ মাটি টানার কাজে নিয়োজিত ট্রলির বেপরোয়া চলাচলের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়ার পাশাপাশি রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন বরাবরে বিভিন্ন স্থানের ভুক্তভোগীরা লিখিত আবেদন করলেও প্রশাসনের নিরবতায় মিলছে না কোন সুফল। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাইখীর চৌরাস্তা বাজার হতে শুকদেবনগর পর্যন্ত রাস্তাটি জনগণের যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তাটির আশু সংস্কার প্রয়োজন। গত কয়েকদিন ধরে ওই রাস্তায় মাটি টানার ট্রলি চলাচল করছে। ট্রলিগুলো ইটভাটার মাটি টানছে। ট্রলিগুলো চলাচলের কারণে সৃষ্ট ধুলাবালির কারণে রাস্তার দুই পাশে বসবাসরত জনগণের এবং বাইখীর চৌরাস্তার ব্যবসায়ীগণ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এমনকি রাস্তাটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ওই রাস্তাটি দ্বারা দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। জনস্বার্থে ওই রাস্তাটি সংরক্ষণ ও ভাটার মাটি নেওয়া ট্রলি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে ৮০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীরা হলেন- মো. সামচুল হক, ইনুচ শেখ, সামাদ শেখ, সাজ্জাদ মোল্যা, নাজমুল ফকির প্রমুখ। এছাড়া উপজেলাধীন চতুল ইউনিয়নের কলারন গ্রামের কলারন জুট মিলের পশ্চিম পাশের জমির মালিকগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি একটি লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগকারীরা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন জিন্না, আ. রব মিয়া, বাকি মিয়া, আনিস, মবিন মিয়া, ফারুক মিয়া। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী জমির মালিক মো. কাশেম মোল্যা তার জমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে মাটি ব্যবসায়ী মো. সাহেব আলীর নিকট ছয় লাখ টাকায় মাটি বিক্রি করেছে। এতে পার্শ্ববর্তী ফসলি জমির ক্ষতি সাধিত হবে বলে লিখিত অভিযোগে অভিযোগকারীরা উল্লেখ করেছেন।
এসব অভিযোগের পরেও উপজেলা প্রশাসন ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content