২৪ মে ২০২৪ , ৯:০৮:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ঠাকুরগাঁওয়ে আদিবাসী হত্যার
প্রতিবাদে মানববন্ধন!
মোঃ মামুন অর-রশীদ,
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
দায়ন ঋষী নামে এক আদিবাসী নারীকে পিটিয়ে হত্যার পর গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানবন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৪ মে) সকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার ব্যানারে শহরের চৌ-রাস্তায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
কর্মসূচি চলাকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক সুরভী কেরকেটার সভাপত্বিতে নিহত দায়ন ঋষীর স্বামী বিষ্ণু ঋষী, দুই সন্তান সাজন , রাজন ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুচরিতা দেব, সদস্য মাহমুদা আক্তার, শাহানাজ বেগম পারুলসহ বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, চুরির অপবাদে দায়ন ঋষীর ছেলেকে ধরে নিয়ে মারপিটের পর মাকেও তুলে নিয়ে মারপিট করে হত্যার করা হয়েছে। যা নিহতের সদস্যরা দাবি করছেন।
কারা কারা বাসা থেকে তাদের তুলে নিয়ে গেছে স্পষ্ট নামও বলছে। তারপরেও পুলিশ সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে। ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠির মানুষ এমনিতেই অবহেলিত। যে ব্যক্তিটি চুরির অপবাদ দিয়ে বাসায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মারপিট করলো সে কেন পুলিশের হাতে তুলে দিলেন না। আইন নিজের হাতে কেন তুলে নিলেন তিনি।
অবিলম্বে এ ঘটনার বিচারের দাবি করেন বক্তারা। তা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি উচ্চারন করেন তারা।
উল্লেখ্য, গেল সোমবার (২০ মে) পরিষদ পাড়ার নুর আলম লিটনের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিটনসহ তার লোকজন পরদিন মঙ্গলবার (২১ মে) চোর সন্দেহে একই গ্রামের দায়ন ঋষির ছোট ছেলে রাজেন (১৩) ও একই গ্রামের মৃত যোগেনের ছেলে সঞ্জিত (১৫) কে তুলে নিয়ে বাসায় আটকে রাখে।
পরে চুরির অপবাদে কয়েক দফায় তাদের মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ উঠে লিটনসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়। ছেলেকে পেটানোর পর মাকে তুলে নিয়ে মারপিট করে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
পরে বুধবার (২২ মে) সকালে জেলা শহরের পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড পরিষদপাড়ার একটি লিচু গাছে ওই নারীর মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়।