দেশজুড়ে

ঠাকুরগাঁওয়ে গাছে গাছে আমের মুকুলের মৌ মৌ সুবাসিত গন্ধ।

ডেস্ক রিপোর্ট

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৪:১২:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ মামুন অর-রশীদ,
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা,ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে,
মামার বাড়ি যাই।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে,
আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে,
রঙিন করে মুখ।

পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতাটি ছোট বেলায় কেউ পড়ে নাই এমন লোকের জুড়ি মেলা ভার।

তবে পাকা আমের এই বাস্তব রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।

বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। আগে বাংলাদেশের মধ্যে রাজশাহী বিভাগকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হতো। আর এখন আম চাষের জন্যে রাজশাহী ও ঠাকুরগাঁওয়ে আম চাষে পিছিয়ে নেই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা।

ঠাকুরগাঁওয়ে ২২ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। এ যেন কাঁচা হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ।

তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন আম বাগান মালিকরা।

এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। আমরুপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, ক্ষিরসা,হাড়িভাঙ্গা এর মধ্যে অন্যতম। ইতিমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছগুলো মুকুলে পরিপূর্ণ।

এ বিষয়ে উপজেলার কয়েকজন আম বাগানের মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে তাদের বাগানে লাগানো আম গাছের মুকুল আসতে শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। কিছু গাছে গাছে আমের মুকুল বের হচ্ছে।

তারা জানান, আমের মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। আমের মুকুলের রোগ বালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন বলে জানান তারা।

আম বাগান মালিকরা আরও জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

উপজেলা কৃষি সুত্রে জানান, এ সময় আমের বাগানে বসবাস করা হপার বা ফুদকী পোকা যারা মুকুলের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনে বালাইনাশক স্প্রে করতে হবে। এ ছাড়া ঠাণ্ডার কারণে এমনিতেই হপার পোকা গাছের বাকলে লুকিয়ে থাকে। তবে আরও এক সপ্তাহ পরে দিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন ওই কর্মকর্তা। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের ভালো ফলন হবে। বর্তামানে আমের বাগান রয়েছে ৩২৫৩ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content