কৃষি

ঠাকুরগাঁও ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক আবারও ভাঙচুর

ঠাকুরগাঁও ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক আবারও ভাঙচুর।

মোঃ মামুন অর-রশীদ,
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক অফিসের হেল্পডেস্কে ভাঙচুর করেছে সুশান্ত কুমার দাস (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ।

সোমবার বেলা ১২ টার সময় ওই বৃদ্ধ এ ঘটনা ঘটায়। পরে তাকে পুলিশ আটক করে। তবে এ ঘটনার পর হেল্পডেস্কের দায়িত্বরতরা বা জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

আটককৃত সুশান্ত কুমার দাস সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার হরিহরপুর গ্রামের মৃত প্রবীর চন্দ্র দাসের ছেলে বলে তথ্য পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ সুশান্ত দাস জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হেল্প ডেস্ক শাখার গ্লাস ভাঙচুর করতে থাকেন। এসময় তার মুখে শোনা গেছে “হেল্পডেস্ক থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায় না। কেউ আমার কথা শুনে না, উত্তর দেয় না।  বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। তার পরেও কোন সমাধান নাই। সেই হেল্পডেস্ক থাকার চেয়ে না থাকায় ভালো। আমি রাখব না এই হেল্পডেস্ক।” এমন কথা শেষ হতে না হতেই ব্যাগ থেকে লোহার রড বের করে জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পারিবারের স্বজনরা জানান, ২০১৩ সালে থেকে সুশান্ত কুমার দাস জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচ তলায় হেল্পডেস্ক শাখায় সহযোগীতা চান। কিন্তু আজ-কাল বলে সময় ক্ষেপন করেন হেল্পডেস্কের দায়িত্বরতরা। এভাবে তিনি ১১ বছর ধরে হেল্প ডেস্কের বারান্দায় ঘুরাঘুরি করছেন। রাগে ক্ষোভে এমনটা করেছেন বলে ধারণা তার পরিবারের লোকজনের।

এ ঘটনার পর ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক ভাঙচুরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত পরে বলা যাবে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি অত্যন্ত খারাপ একটি কাজ হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে কেন ভাঙচুর করেছে তা এখনোই বলা যাবে না। তদন্ত করে পরে জানানো হবে।

এখানে উল্লেখ থাকে যে, গত ৮ জুলাই ২০২৩ সালে নাসিরউদ্দিন নামে এক যুবক ডিসি অফিস ভাংচুর করে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content