দেশজুড়ে

ডেস্ক রিপোর্ট

১৫ জানুয়ারি ২০২৪ , ৬:০১:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীকে উদ্ধার,পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেফতার

মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম / খুলনা //

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় দুই তরুণীকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে শাকিল সরদার (২৫) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার ১৫ জানুয়ারি এর সন্ধ্যায় ফকিরহাটের জারিয়া এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এর আগে নির্যাতিত ২১ বছর বয়সী এক তরুণী বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অপর আসামি মেহেদী হাসান (২০) পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতার শাকিল সরদার ফকিরহাট উপজেলার জারিয়া-চৌমাথা এলাকার মোস্তাব সরদারের ছেলে। সে ফকিরহাট কাজী আজহার আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। অন্য আসামি মেহেদী হাসান একই এলাকার শেখ মাসুম হকের ছেলে।মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে দুই বান্ধবী চাচাতো ভাই ও তার বন্ধুর সঙ্গে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঘুরতে যায়। পরে সেখান থেকে রাত ১১টার সময় খানজাহান আলী মাজারে ঘুরতে যায়। আনুমানিক রাত ১২টা ১০ মিনিটে খুলনার দিকে রওনা দেয়।পরে ফকিরহাটের জারিয়া চৌমাথা এলাকায় গতিরোধক অতিক্রম করার সময় শাকিল সরদার এক তরুণীর ওড়না টেনে ধরে। এতে ওই তরুণী ও তার বন্ধু রাস্তার ওপর পড়ে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্য মোটরসাইকেলের চালক ও তরুণী মোটরসাইকেল থেকে নেমে যায়।তারা কোনো কিছু জানতে চাওয়ার আগেই শাকিল ও মেহেদী তাদেরকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে শাকিল ও মেহেদী ওই তরুণীদেরকে পাশের স্বপন দেবেনাথের চায়ের দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়।একজনকে চায়ের দোকানের বেঞ্চির ওপর এবং অন্যজনকে প্রশান্ত ব্যানার্জির সেড দোকানের পিছনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে ধর্ষনকারীরা দুই তরুণী ও তরুণকে পার্শবর্তী জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে আবারও ধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে তরুণীদের সঙ্গে থাকা এক তরুণ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।শাকিল ও মেহেদী তরুণ-তরুণীদের কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি-ধামকি দিয়ে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এর মধ্যে আগে পালিয়ে যাওয়া তরুণ ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানায়। পরবর্তী সময়ে রোববার (১৪ জানুয়ারি) বাড়ি থেকে তরুণীদেরকে উদ্ধার করা হয়। ফকিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর মধ্যে শাকিল সরদার নামের একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ার শেষে শাকিল সরদারকে আদালতের সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। অপর আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content