কৃষি

হাওরের বুকে কৃষকের রোপণ করা কচি ধানের চারা উঁকি দিয়েছে যৌবনে

ডেস্ক রিপোর্ট

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১১:৩৭:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

এস এ আখঞ্জী তাহিরপুরঃ- প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হাওরের বুকে কৃষকের কষ্টার্জিত রোপণ করা কচি কচি  বোরো ধানের চারা গজিয়ে উঁকি দিয়েছে যৌবনে।  সবুজের রং বদলিয়ে আজ সোনালী রঙ্গে পদায়ন, কৃষক-কৃষাণী স্বপ্ন অকেঁছে মনে। পুরো  মাঠের পর মাঠ, সবুজের সমারোহ ফসলের ক্ষেত দেখে মনে হয়,এ যেন আবহমান গ্রামবাংলার উদ্ভাসিত এক রূপ। কৃষকের সোনালি স্বপ্ন যেন লুকিয়ে আছে সোনালী ফসলে।

উপজেলার বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায় মনোমুগ্ধকর সবুজ ধান ক্ষেতের অপরূপ দৃশ্য। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ রং  ফাগুনের ছোঁয়ায় অপরূপ সৌন্দর্যে দোল খাচ্ছে দিগন্তের মাঠ জুড়ে। চলতি বোরো মৌসুমে  ফাগুনের প্রখর রোদে ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকের সাথে কথা বলে জানাযায় বিগত বছরের তুলনায় এবার বোর মৌসুমে এখন পর্যন্ত ধানে তেমন রোগবালাই দেখা দেয়নি। তাই বোর ধান চাষে এবারের চিত্র ভিন্ন। চারা রোপণের শেষে গেল কয়েকদিন পূর্বে দুই দফায় বৃষ্টি হয়েছে। এবং রোপণকৃত ধানের চারা কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় দ্রুত বেড়ে ওঠেছে।তাই সবুজে ছেয়ে গেছে ধান ক্ষেত। সারাদিন কৃষক আর কৃষি শ্রমিকের কর্মব্যস্ততায় মুখরিত উপজেলার ফসলের মাঠ।আর দিগন্ত মাঠ জুড়ে সবুজের মাঝেই উঁকি দিচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন।

উপজেলা কৃষি অফিস তাহিরপুর এর তথ্যসুত্রে জানাযায় চলতি বোর মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৭হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোর ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কোনপ্রকার ক্ষতির সম্মুখীন না হলে ৬৬হাজার ১২০ মেট্রিক টনের বেশি চাল উৎপাদন হবে।

উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরং গ্রামের কৃষক আলী  বলেন চলতি বছরে আমি ৪ একর জমিতে বোর ধান চাষাবাদ করেছি এখন পর্যন্ত কোন রোগবালাই দেখা দেয়নি।ধান ভালই হয়েছে।

উপজেলা সদর ইউনিয়নের ধুতমা গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন চলতি বছরে আমি ১৮ একর জমিতে বোর ধান চাষাবাদ করেছি তার মধ্যে বি-২৮ ধান ১৬ একর এবং দুই একর জমিতে লাল ধান সহ বিভিন্ন প্রকার ধান চাষাবাদ করেছি।ফসল ভালই হয়েছে।যদি কোনপ্রকার রোগবালাই দেখা না দেয় উৎপাদন ভালই হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান-উদ দৌলা বলেন চলতি বোর মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এতে ৬৬হাজার ১২০ মেঃটন চাউল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ।উনি বলেন এ বছর এখন পর্যন্ত বোর ধানে কোন রোগবালাই দেখা দেয়নি আশাকরি এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।আমাদের পক্ষ হতে সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content