দেশজুড়ে

শীতের পুরাতন কাপড়ের বাজারে উত্তাপ।

ডেস্ক রিপোর্ট

১১ জানুয়ারি ২০২৪ , ৭:০৯:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

১১-০১-২২২৪ইং
শীতের পুরাতন কাপড়ের বাজারে উত্তাপ।

বিজয় কর রতন, ষ্টাফ রিপোর্টার কিশোরগঞ্জঃ – সারাদেশ কাঁপছে তীব্র শীতে। কিশোরগঞ্জেও লেগেছে হিমশীতল পরশ। শীত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পোশাকের দোকানগুলোতে বেড়েছে গরম পোশাকের বিক্রি। চাহিদা বেশি থাকায় মার্কেট ও শপিংমলগুলোর শীতের কাপড়ের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতের দোকানগুলোর দিকে ঝুঁকলে সেখানেও তাঁরা স্বস্তি পাচ্ছেন না। ফুটপাতে শীতবস্ত্রের মেলা বসলেও দামে আগুন। আগের চেযে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে শীতের কাপড়। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। দোকানগুলোতে শিশু বয়স্কদের কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাত মোজা, মাফলার, সোয়েটার, ফুলহাতা গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে বেশি। কাপড়েরর মান ও আকারভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ফুটপাতে ভিড় করা ক্রেতারা বলছেন, শীতের শুরুতে ভারী ও গরম পোশাক প্রযোজন পড়েনি। তবে এখন আগের কাপড়ে আর কুলাচ্ছে না।কয়েকদিন যাবত শীত বেড়ে যাওয়ার নতুন করে পোশাক কিনতে হচ্ছে। আর ক্রেতাদের এ চাহিদাকে পুঁজি করে বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। এক সরকারি অফিসের কর্মচারি রহিমা বেগম। স্বল্প বেতনের চাকরি। তাই ফুটপাত থেকে পোশাক কিনতে যান তিনি।রহিমা বলেন, শীতের শুরুতে অল্প পোশাক কেনা হয়েছিল। কিন্তু শীত বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। নতুন করে পোশাক কিনতে হচ্ছে। মার্কেটে কাপরের দাম অনেক বেশি। এ কারণে তিনি ফুটপাতে এসেছেন। কিন্তু ফুটপাতেও আগের চেযে অনেক বেশি দামে শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, দোকানে দোকানে অনেক ভিড়। এ সুযোগে বিক্রেতারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সপ্তাহখানেক আগের দামের থেকে এখন প্রতি কাপড় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। আরেক ক্রেতা হযরত আলী বলেন, তিনি ছোট চায়ের দোকান চালান। অল্প আয়। তাই বেশি দামে বড় দোকান থেকে কাপড় কিনতে পারেন না। ফুটপাতেই ভরসা। শীত ঠেকাতে মোটা কাপড় কিনবেন। কিন্তু সেখানেও দেখছেন আগের চেযে অনেক বেশি দাম। পোশাকের দাম বাড়া বিষয়টি স্বীকার করেছেন ফুটপাতের একাধিক ব্যবসায়ী। তাঁরা জানান, কযেক দিনের ঠান্ডার জেরে পোশাকের দাম বেড়েছে। ফুটপাতে শীতের কাপড়ের ব্যবসা করেন আবুল হোসেন। তিনি জানান, এ সপ্তাহে ক্রেতা বেশি। বিক্রিও ভালো। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা আসছেন। তাই দামও সামান্য বেড়েছে। ফুটপাতের অপর এক কাপড় বিক্রেতা সুবের মিয়া বলেন,গত কয়েকদিনে যে পরিমাণ কাপড় বিক্রি হয়েছে, তা গত এক মাসেও হয়নি। তবে দাম সাধ্যের মধ্যেই আছে। গরিব মানুষ সহজেই কিনতে পারছেন।

বার্তা প্রেরক
বিজয় কর রতন

মিঠামইন কিশোরগঞ্জ

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content