দেশজুড়ে

সরকারি কোষাগারে রাজস্ব না দিয়ে রাজাস্ব যায় টোকেন বাণিজ্যের মূল হোতা দেলোয়ারের পকেটে

ডেস্ক রিপোর্ট

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৯:২৫:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রাম নগরীতে অবৈধ অটো রিক্সা সিন্ডিকেট এর দৌরাত্ম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিভিন্ন সময়ে নানা সড়ক দুর্ঘটনার মাধ্যমে এসব অটো রিক্সার আঘাতে একাধিক ব্যক্তি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে মারাত্মক জখম, পঙ্গুত্ব এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত গড়িয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে স্থায়ীভাবে এসব অটো রিক্সা বন্ধের পরিবর্তে অবৈধ অর্থ আদায়কারী চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। যেখান থেকে নাগরিক নিরাপত্তা আসার কথা সেখানেই চলছে অবৈধ চাঁদাবাজির রমরমা লেনদেন। সাধারণ মানুষ জানতে চায় এসব বিষয়ে পুলিশ নীরব কেন? মাঝে মধ্যে দুই একটি উদ্যোগ দেখা গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকিতে দুর্নীতিতে জড়িত এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। নগরীর বাকুলিয়া এলাকায় চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির মহোৎসব। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতিতে তিনি জিরো টলারেন্স। এই অঙ্গীকারের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ চাঁদাবাজদের উৎসাহিত করছেন, স্থানীয় জনসাধারন মনে করছেন তাদের অপরাধ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এভাবে চলতে থাকলে একদিন পুরো দেশটাকে এরা গিলে খাবে। এইসব চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে থানার ক্যাশিয়ার পরিচয় দেয়া এক ধরনের মাফিয়া চাঁদাবাজ। একাধিক সংবাদ প্রচারের পরেও থানার ক্যাশিয়ার পরিচয় দেয়া চাঁদাবাজেরা তাদের চাঁদা উত্তোলনের কর্ম কান্ড থেকে বিন্দুমাত্র পিছপা হন নি। আরও আশ্চর্যের বিষয় মাঝে মাঝে থানার টহল গাড়িতে এদেরকে অফিসারের ভাব ধরে বসে থাকতেও দেখা যায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চকবাজারের স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ। সাধারণ ফুটপাত ব্যবসায়ীরা জানতে চান আমাদের কাছ থেকে প্রতিদিন আদায় কৃত চাঁদার টাকা সরকারের কোন কোষাগরে জমা দেয়া হয়? সম্মিলিত ভাবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই আমাদের। এক গবেষণা মূলক জরিপে দেখা গেছে যে পরিমাণ অর্থ প্রতিদিন এবং প্রতি মাসে নগরীর বাকলিয়া এলাকার অটোরিক্সা এবং ফুটপাত থেকে উত্তোলন করা হয় তা দিয়ে অন্তত ১০০ জন সরকারী কর্মচারীর মাসিক বেতন পরিশোধ করা যেত। এভাবে সম্পূর্ণ চট্টগ্রাম নগরীর হিসাবটা যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় আনার জন্য অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম নগরীর মিয়াখান নগর এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় এক ব্যক্তি। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন-সরকারীভাবে স্বীকৃত কোন পদ পদবী না থাকা সত্বেও একজন ব্যক্তি কিভাবে থানার ক্যাশিয়ার পরিচয় দেন নিজেকে। থানার পরিচয় দেয়া ক্যাশিয়ার গুলোকে সোনার ডিম পাড়া হাঁস বলে উদ্ধৃতি দিয়ে অন্য একজন বলেন এরা সবসময় থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে এবং প্রকাশ্যে এরা চাঁদাবাজিতে লিপ্ত থাকেন । নগরীতে চকবাজার থানার ক্যাশিয়ার অলির নামে চলছে একাধিক অটোরিক্সা। যেখানে প্রতিমাসে অনুমানিক চাঁদাবাজি চলে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার। পুরো চাঁদাবাজির হাট নিয়ন্ত্রনে রয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন ব্যক্তি। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া এসব অবৈধ কাঁচা অর্থের লোভ সামাল দিতে না পারা দূর্নীতি বাজদের মাধ্যমে অবৈধ সৃষ্ট পোষ্টের নাম হলো থানার ক্যাশিয়ার। যদিওবা প্রকাশ্যে বিষয়টি কেউ স্বীকার করেন না। আবার অবৈধ কর্মকান্ডের হোতা ক্যাশিয়ার পরিচয় দেয়া এসব ব্যক্তির চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন স্থানীয় প্রশাসন। নগরীর বাকলিয়া এলাকায় ৩/৪ টি অটোরিক্সার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রিক্সাওয়ালাদের কাছ থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে। এই আদায়কৃত অর্থের একটি মোটা অংকের অর্থ ক্যাশিয়ারের হাত হয়ে সরাসরি চলে যায় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পকেটে। এভাবে প্রতিদিন প্রতি ঘন্টা এবং প্রতিমুহূর্তে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে সরকারী রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনাময় পরিবহন সেক্টরের একটি বড় অধ্যায়কে। স্থানীয় সাধারন মানুষ বঙ্গ বন্ধুর সোনার বাংলাদেশকে রক্ষায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চট্টগ্রাম নগরীর বাকুলিয়া এলাকার দিকে জোড়ালো দৃষ্টি দিয়ে এসব অবৈধ চাঁদাবাজ এবং ক্যাশিয়ারদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিতে আশু পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে বাকুলিয়া এলাকা হতে চাঁদাবাজি চিরতরে বিলুপ্তির জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content