কৃষি

সুপ্রীয় বাকেরগঞ্জ বাসী,

ডেস্ক রিপোর্ট

২২ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৯:০৮:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

সুপ্রীয় বাকেরগঞ্জ বাসী,

আসসালামু আলাইকুম, আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই বর্তমান যুগে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার অন্যতম একটি মাধ্যম নির্বাচন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটদাতার সঙ্গে নয়, পুরো জাতির সঙ্গেই সম্পৃক্ত। জনগণের ন্যায্য অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে আদর্শবান, সৎ ও খোদাভীরুর হাতে ক্ষমতা অর্পণ করার লক্ষ্যে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা প্রত্যেক ভোটারের নৈতিক দায়িত্ব। ভোট বিশেষ একটি পবিত্র আমানত। ভোটের ব্যাপারটি শুধু পার্থিব নয়; পরকালেও এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। প্রার্থী সৎ, যোগ্য, আদর্শবান না হলেও তাকে ভোট দেওয়া আর তার ব্যাপারে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে সত্যায়ন করা একই কথা। কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভালো, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি প্রার্থী হলে তাকে ভোট না দিয়ে বিরত থাকা এবং অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করা ধর্মীয় দৃষ্টিতেও গুরুতর অপরাধ। সৎ প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও সৎ ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রার্থীকেই ভোট দিতে হবে, নতুবা আমানতের খেয়ানত হবে। কারো ভোটের কারণে যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে যান, এতে পরবর্তীকালে তিনি যা যা ভালো কাজ করবেন, তার সওয়াব ভোটদাতাও পাবেন। আর যদি কারো একটি ভোটের কারণে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কোনো পাপিষ্ঠের হাতে চলে যায়, তার কারণে ইসলাম হয় ভূলুণ্ঠিত, জনগণ অধিকার থেকে হয় বঞ্চিত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার কারণে পরকালে মহান আল্লাহর কাছে ভোটদাতাকে জবাবদিহি করতে হবে। তাই এসব নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটারের অংশগ্রহণ করা ইমানি দায়িত্ব।ভোট সাধারণ কোনো ব্যাপার নয়। ভোট দেওয়া মানে সাক্ষ্য প্রদান ও সত্যায়ন করা। কাউকে ভোট দেওয়ার অর্থ হলো তার ব্যাপারে এই মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করা যে, তিনি সৎ ও যোগ্য। ইসলাম ও দেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা এবং জনগণের অধিকার আদায়ে তিনিই সবচেয়ে উপযুক্ত। প্রার্থী সম্পর্কে জানা-শোনার পরও অসৎ ব্যক্তিকে ভোট বা সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে নির্বাচিত হওয়ার পরবর্তী সময়ে যত অসৎ কর্মকান্ড সম্পাদন করবেন, সেই পাপের অংশে ভোটাররাও শরিক হবেন। পবিত্র কোরআন কারিমে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, যে লোক সৎকাজের জন্য কোনো সাক্ষ্য দেবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, সে তার পাপের একটি অংশ পাবে (সুরা নিসা : ৮৫)। কোরআনুল কারিমে আরো এরশাদ হয়েছে, হে ইমানদারগণ! তোমরা ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকো এবং ন্যায়সংগত সাক্ষ্যদান করো, তাতে তোমাদের নিজের কিংবা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তদাপিও (সুরা নিসা : ১৩৫)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরো এরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অটল থাকবে এবং কোনো সম্প্রদায়ের আক্রোশের কারণে কখনো ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না (সুরা মায়েদা : ৮)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কালামে পাকে আরো এরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যে, যাবতীয় আমানত তার উপযুক্ত লোকদের নিকট অর্পণ করো (সুরা নিসা-৫৮৩)। আল্লাহ বলেন, হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফের সঙ্গে আল্লাহর জন্য সাক্ষী হয়ে দাঁড়াও (সুরা নিসা : ১৩৫)। কোরআনে আরো এরশাদ হয়েছে, হে ঈমানদারগণ! তোমরা জেনেশুনে আল্লাহ ও তার রসুলের সঙ্গে ওয়াদা ভঙ্গ করো না এবং নিজেদের আমানতের খেয়ানত করো না (সুরা আনফাল-২৭)। যোগ্যতার মানদন্ডে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নয়, ফাসিক, অসৎ ব্যক্তি যিনি দলীয়ভাবে লবিং অথবা আর্থিকভাবে প্রভাব বিস্তার করে নির্বাচনে পদপ্রার্থী হয়েছেন এমন প্রতিদ্বন্দ্বীকারী ব্যক্তিকে ভোট দেওয়া হারাম। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, তোমরা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান থেকে বিরত থাকো (সুরা হজ : ৩০)। রসুল (সা.) উম্মতকে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করা থেকে সতর্ক করেছেন। রসুল (সা.) বলেন, সাবধান! মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া সর্বাপেক্ষা বড় গোনাহ। হজরত আয়মান বিন আখরাম (রা.) বলেন, এক দিন নবীজী (সা.) খুতবায় দাঁড়িয়ে বললেন, হে লোক সকল! মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া আর আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা একই রকম’ (তিরমিজি : ২২৯৯)। হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, রসুল (সা.) এরশাদ করেন, রসুল (সা.) একবার কবিরা গোনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি উত্তরে বললেন, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া, মানুষ হত্যা করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া (বুখারি : ২৫১০)।বর্তমানে একটি কুচক্রী মহল টাকার ছড়াছড়ি ও বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে অনেক প্রার্থী ভোট সংগ্রহ করেন, যা সম্পূর্ণ হারাম। যেসব পদ প্রার্থী ভোটারদের আপ্যায়নের নামে বিভিন্নভাবে ঘুষ দিয়ে নিজেদের পক্ষে ভোট সংগ্রহ করে ঘুষতন্ত্র চালু করেছেন, সেটা ইসলামের দৃষ্টিতে মহাপাপ। আর যেসব ভোটার প্রার্থীদের যথাযোগ্যতা যাচাই-বাছাই না করে স্বজনপ্রীতিমূলক, সাময়িক সম্পর্ক, সস্তা প্রতিশ্রুতি ও ঘুষ খেয়ে ভোট প্রদান করছেন, আমানতের খেয়ানত করার কারণে তাদের পরকালে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তাই সৎ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রার্থীকে ভোট দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব।সে হিসেবে আমি মনে করি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল (অবঃ) আলহাজ্ব আব্দুল হাফিজ মল্লিক স্যার সকল প্রার্থীর চেয়ে একজন সৎ,নম্র,ভদ্র,বিনয়ী,ধার্মিক,উচ্চশিক্ষিত,বিজ্ঞ প্রকৌশলী বীদ,পরোপকারী,ন্যায়পরোয়ান,বিশিষ্ট সমাজসেবক,মেধাবী এবং বহু গুণে গুণান্বিত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী।তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট থেকে মেজর জেনারেল এবং এই সামরিক বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদে অতি সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করিয়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ততা ছিলেন।এমনকি তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশেষ করে বাকেরগঞ্জের অসংখ্য বেকার যুবকদের চাকুরী দিয়েছেন নিঃশর্তভাবে।

তাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল (অবঃ) আলহাজ্ব আব্দুল হাফিজ মল্লিক স্যারের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্য হলঃ

১।তিনি একজন সৎ,নম্র,ভদ্র,বিনয়ী,ধার্মিক,উচ্চশিক্ষিত, ন্যায়পরোয়ান,বিজ্ঞ প্রকৌশলী বীদ,পরোপকারী,বিশিষ্ট সমাজসেবক,মেধাবী এবং বহু গুণে গুণান্বিত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি।

২।তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত সিপাহশালার হওয়ায় তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে আমরা উন্নয়ন বঞ্চিত বাকেরগঞ্জবাসী একজন পূর্ণ মন্ত্রী উপহার পাব।

৩।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,বাকেরগঞ্জ উপজেলাকে পুনরায় জেলায় রূপন্ত্রিত করতে পারবেন।

৪।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,বাকেরগঞ্জ উপজেলাকে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাকেরগঞ্জ ঘটতে পারবেন।

৫।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,বাকেরগঞ্জে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ,মাদক,অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা,কালোবাজারী থাকবে না।

৬।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট,ব্রীজ,কালবার্ট,স্কুল,কলেজ,মসজিদ,মাদ্রাসা, মন্দিরের ভবন নির্মাণ করতে পারবেন।

৭।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,বিভিন্ন বেকার যুবক ও যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

৮।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,দল-মত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে একটি স্মার্ট বাকেরগঞ্জ গড়ে তুলতে পারবেন।

৯।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,সংসদীয় ৩০০ আসনের চেয়ে আমাদের আসনে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ আনতে পারবেন।

১০।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

১১।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে।

১২।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,অত্র এলাকায় বিভিন্ন সংস্কার মূলক কাজ করতে পারবেন।

১৩।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,উন্নয়নবঞ্চিত বাকেরগঞ্জ বাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে।

১৪।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,বাকেরগঞ্জে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির অবসান ঘটবে।

১৫।তিনি এমপি নির্বাচিত হতে পারলে,বাকেরগঞ্জকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত স্মার্ট বাকেরগঞ্জ গড়তে পারবে।

তাই আসুন আমরা সবাই সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দল-মত নির্বিশেষে সকলে আগামী ৭ জানুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল (অবঃ) আলহাজ্ব আব্দুল হাফিজ মল্লিক স্যারের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

অনুরোধক্রমে,
মোঃ নজরুল ইসলাম খান আলীম,
প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক,
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ,
বাকেরগঞ্জ উপজেলা শাখা,বরিশাল।
মোবাইল নং-০১৭১১-১৯৩৬৮৫।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content