১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১০:১৯:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
হবিগঞ্জে তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি সেবার মানোন্নয়নে গণশুনানি।
কামরুল হাসান সুজন
লাখাই প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি সেবার মানোন্নয়নে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রকল্প’-এর আওতায় সোমবার(১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব এ জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে এ গণশুনানির আয়োজন করে জেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের আর্থিক ও ক্রিশ্চিয়ান এইড’র কারিগরি সহযোগিতায় গণশুনানি অনুষ্ঠান সফল করতে এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটিকে সহায়তা প্রদান করে ওয়েভ ফাউন্ডেশন।
জেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটির চেয়ারপার্সন মোঃ বাহার উদ্দিনে এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হোসেন খানের সঞ্চালনায় এ গনশুনানী অনুষ্টিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ’র প্রতিনিধি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা সাহা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান চৌধুরী, জেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের উপপরিচালক একেএম আব্দুল্লা ভূঁইয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার, হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদ আহমদ খান, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আব্দুর রব মোল্লার প্রতিনিধি পরিবার পরিকল্পনা সহকারি সমিতির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীমা বেগম, ভিলেজ কোর্টের জেলা কর্মকর্তা নাঈমুল হক খান।
সভায় প্রকল্প সম্পর্কে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিলেট ডিভিশনাল ফ্যাসিলেটেটর শাহজাহান মিয়া এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’-এর সিলেট ডিভিশনাল কোয়ালিশন কমিটির সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমি।
সামাজিক নিরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চিহ্নিত সমস্যার আলোকে অনুষ্ঠানে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন অংশগ্রহণকারীরা।
পরে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রশ্নের উত্তর প্রদানসহ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব এর সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ সাগর, দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার উপসম্পাদক রায়হান উদ্দিন সুমনসহ জেলার ৯টি উপজেলা এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটির নেতৃবৃন্দ ও প্রকল্পের উপকারভোগী দলিত, প্রতিবন্ধী, হিজরা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিবৃন্দ।