দেশজুড়ে

ওরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই, ওরা খবর পেলেই রক্ত দিতে ছুটে যায়।

বিজয় কর রতন

২ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১১:২৭:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ওরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই, ওরা খবর পেলেই রক্ত দিতে ছুটে যায়।

[12-01, 18:29] +880 1714-329586: ০১/১২/২০২৩

ওরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই, ওরা খবর পেলেই রক্ত দিতে ছুটে যায়।

বিজয় কর রতন, ষ্টাফ রিপোর্টার কিশোরগঞ্জঃ- কোনো পরিবার খাবারে অভাবে আছেন এমন খবর শুনার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে চলে যান তারা। কোন গর্ভবতী মায়ের রক্তের প্রয়োজন এমন কোন সংবাদ পেলে সাথে সাথে তাদের জন্য রক্ত দিয়ে হাওর অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম উপজেলা থেকে পাশ্ববর্তী উপজেলা,জেলা শহর এমনকি রাজধানীর উদ্দেশ্য কখনো দিনের বেলায়, কখনো সন্ধ্যায় কখনো আবার গভীর রাতেই কখনো মোটরসাইকেল কখনো নৌকায় করে ছুটে চলে তারা রক্ত দিতে। কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম উপজেলার অষ্টগ্রাম ব্লাড ব্যাংক ও অষ্টগ্রাম দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থা এই দুটি সামাজিক সংগঠন অসহায় মানুষের পাশে কখনো সেচ্ছায় রক্তদান কখনো অসহায় দরিদ্র মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে প্রসংশা কুড়িয়েছেন অষ্টগ্রাম উপজেলা এবং পাশ্ববর্তী উপজেলার সকল মানুষের কাছে। জানা যায়,কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম,ইটনা,মিঠামইন এক সময় যোগাযোগ মাধ্যমে হিসেবে নৌকা ছাড়া আর কোন যান বাহন ছিল না আর উপজেলা সরকারি হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থাও ছিল করুন। সেখান থেকে কোন রোগীকে জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করলে সময় লাগতো ৪-৫ ঘন্টা। কখনো রাস্তায় রোগীর মারা যাওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও চিকিৎসা ব্যবস্থা তেমন উন্নতি ঘটেনি। বিশেষ করে গ্রামের গৃহ বধূ বা গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসা জন্য এখনো প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয়। এই সময় যদি রক্তে প্রয়োজন হয় তাহলে তো বিলম্বনার শেষ নেই। গত ২-৩ বছর ধরে সেচ্ছায় রক্ত দিয়ে আসছে অষ্টগ্রাম ব্লাড ব্যাংক নামের একটি সামাজিক ও মানবিক সংগঠন। সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, এই পর্যন্ত তারা আড়াই হাজারেরও বেশি লোকজনদের কে রক্ত দিয়েছে। ওরা কেবল রক্তে দিতে উপজেলা বা জেলা শহরে সীমাবদ্ধ না রক্তের প্রয়োজনে তারা ছুটে যায় হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণ বাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ,সিলেট এমন কি রাজধানীর ঢাকাতেও। কথা হয় অষ্টগ্রাম ব্লাড ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো: জাকির হোসেন আশরাফী সঙ্গে, তিনি জানান,১০১৯ সালের দিকে শুরু করে এসব কার্যক্রম শুরু করেছিল তবে এত বড়সড় ছিল না পরবর্তীতে ২০২১ সালে এই মানবিক সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকতা মাধ্যমে শুরু করেন। বর্তমানে আড়াই হাজার লোকজনদের কে এই সংগঠনের মাধ্যমে রক্ত দিতে পেরেছেন এবং বর্তমানে সেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে পাঁচ শত সেচ্ছাসেবী রয়েছেন যখন কারো রক্তের প্রয়োজন হয় তখন সেই জায়গায় সেচ্ছাসেবীদের পাঠিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িনোর এবং চেষ্টা করেন তারা বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তাদের আরেকটি সামাজিক সংগঠন রয়েছে “অষ্টগ্রাম দারিদ্র্য বিমোচক সংস্থা “নামের সংগঠনটিতে রয়েছে ২৫০জন সেচ্ছাসেবী তারা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। কখনো খাবার, কখনো শীতবস্ত্র বিতরণ কখনো আবার অসহায় রোগীদের কে সাহায্য তুলে দেন বলে জানান তারা। এবিষয়ে কথা হলে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাক আহমেদ কমল জানান, হাওরে এমন মানবিক সংগঠনের আর কোন উপজেলা নাই। এই দুটি সামাজিক এবং মানবিক সংগঠন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রসংশা পাচ্ছে এই মানবিক সংগঠনের পাশে সবাই থাকা দরকার।

বিজয় কর রতন
দৈনিক সমকাল
মিঠামইন কিশোরগঞ্জ
মোবাইল:০১৭২৪৩৬২৭৪৪
[12-02, 16:35] +880 1714-329586: ০২/১২/২০২৩

অবৈধভাবে স্থান পরিবর্তন করে ডিলারের বিরুদ্ধে সার বিক্রির অভিযোগ, প্রতিকার নাই কৃষি কর্মকর্তার।

বিজয় কর রতন মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- বিগত কয়েক বছর যাবত অষ্টগ্রামের কলমা ইউনিয়নের একজন ডিলারের বিরুদ্ধে তার অবস্থান পরিবর্তন করে সার বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বরাবরে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও তার সমাধান না থাকায় এলাকার কৃষক দীর্ঘদিন যাবত সারের ভুগান্তির স্বীকার হচ্ছে। জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জয়চন্দ্র দাস একজন সাব-ডিলার সার বিক্রেতা বটে। তিনি গত কয়েকবছর যাবত অবৈধ্যভাবে স্থান পরিবর্তন করে ৯নং ওয়ার্ডের গাজীহাটি ও পাশ্ববর্তী কলমা ইউনিয়নের ২নং মোহনতলা বাজারে সার বিক্রি করে আসছে। এব্যাপারে কলমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের অন্য সাব-ডিলার চন্দন দাস নামক ব্যাবসায়ী অবৈধ সার বিক্রেতা জয়চন্দ্রের বিরুদ্বে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। সার বিক্রেতা নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক ডিলার তার নিজ নিজ অবস্থানে মোকামসহ বিক্রয়কেন্দ্র থাকতে হবে। কিন্তু জয়চন্দ্র তার ব্যাক্তিগত প্রভাব বিস্তার করে তার নির্ধারিত ওয়ার্ডে সার বিক্রি না করে ব্যাক্তি সুবিধামত আইন বহিভূত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ডের কয়েকজন ভূক্তভোগী কৃষক রামচরন দাস, ললিত দাস, সুবির দাস, প্রকাশ দাস, গৈার মোহন দাস, শ্রীবাস দাস, অমৃত লাল দাস, মহেশ্বর দাস, গীরেন্দ্র দাস, সুবোধ দাস, খোকন বৈষ্ণব, শ্রীচরন বৈষ্ণব, গোপাল বৈষ্ণব, সুবাস বৈষ্ণব, জিতু বৈষ্ণব, প্রশন্ত বৈষ্ণব, রতীন্দ্র বৈষ্ণব, হরেন্দ্র দাস, সাধন দাস, বিজয় বৈষ্ণব সহ অনেকেই বলেন তাদের নিজ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত সাব ডিলার না থাকায় তারা দূরবর্তী আদমপুর বাজার থেকে চড়াদামে সার কিনতে হয়। এতে খরচ ও কষ্ট অনেক বেড়ে যায়। বিষয়টি এলাকার কৃষকের মাঝে গুঞ্জন চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিত সরকার বলেন, সাব ডিলার জয়চন্দ্র দাস অবৈধ্যভাবে স্থান পরিবর্তন করে সার বিক্রি করে আসছেন বলে অবগত রয়েছে। তবে তিনি একই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত সার বিক্রি করা সার সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা অমান্য করছেন বলে জানান। হাওরের এক ফসলী বোরো চাষে এক মৌসুমেই সার ও বীজ ব্যবসা করে থাকেন ডিলারগন। তাই অভিযোগকারী সাব-ডিলার চন্দন দাস জানান, বিগত কয়েক বছর যাবত অবৈধ সার ব্যবসায়ী জয় চন্দ্রের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দায়ের করেও কোনো ফলাফল না পাওয়ায় তার ব্যবসার মারাত্বক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগের ভিত্তিতে সমাধান না পেয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে সমাধানের নির্দেশ প্রদান করেন।

বিজয় কর রতন

মিঠামইন কিশোরগঞ্জ

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content