বরিশার সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী’ নাসিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন!

নজরুল ইসলাম আলীমঃবাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিপুর ইউনিয়নের আড়াইবেকি গ্রামের মঞ্জু হালাদার পুত্র সরকারি বরিশাল কলেজের শিক্ষার্থী নাছিম হাওলাদার প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর শয্যায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণের জন্য রেফার করেন।
উল্লেখ্য পাদ্রীশিপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আড়াইবেকি গ্রামের বাদল মৃধার পুত্র ইফাদ মৃধা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রাইভেট ক্লাস শেষ করে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে নিউ মার্কেট ভূমি অফিসের সামনে পৌঁছালে রাস্তার মধ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় লালমিয়া হালদারের পুত্র মাসুদ রানা, মাসুদ রানার স্ত্রী পপি, মাসুদ রানার পুত্র শাওন হাওলাদার সহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা চলাকালে লোক মারফত খবর পেয়ে ইফাদের মা হালিমা বেগম ও তার ভাগিনা নাছিম হাওলাদার ইফাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তখন হামলাকারীরা নাছিম হাওলাদারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মঞ্জু হাওলাদার এর পুত্র বরিশাল সরকারি কলেজে মেধাবী শিক্ষার্থী নাসিম গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে বাকেরগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। কর্মরত ডাক্তার নাছিমকে বরিশালের রেফার করেন। হামলা ঘটনায় উভয় পক্ষের দুটি অভিযোগ থানায় জমা হলেও নাছিমের বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি বাকেরগঞ্জ থানায় রেকর্ড করা হয়। শুধু এখানেই নয় নাছিমের মামা সাংবাদিক কামাল মৃধা হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে আসলে চিহ্নিত দালালরা তাকে থানার মধ্যে হয়রানি করেন। প্রতিপক্ষের করা অভিযোগে সাংবাদিক কামাল মৃধাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুতর আহত নাছিমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতাও করা হয়েছে। অপরদিকে নাসিমের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মাকসুদুর রহমান সকল আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনে ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ ধারায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করেন। যাহার জি,আর মামলা নং ৪৫/২০২৩ (বাকেরগঞ্জ)।