লাইফস্টাইল

কাঁঠালের বিরিয়ানি রাঁধবেন যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট

২৮ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:২১:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। তেমনই এক মুখরোচক খাবার হলো কাঁঠাল বিরিয়ানি। অনেকেই ভেবে নিশ্চয়ই অবাক হবেন, কাঁঠাল দিয়ে আবার বিরিয়ানিও রান্না করা যায়! একবার খেলে মুখে লেগে থাকবে এই কাঁঠাল বিরিয়ানির স্বাদ।

কাঁচা কাঁঠালের তরকারি তো কমবেশি সবাই নিশ্চয় খেয়েছেন, এবার না হয় স্বাদ পাল্টাতে স্বাদ নিন কাঁঠাল বিরিয়ানির। তাহলে আর দেরি কেন, জেনে নিন মজাদার কাঁঠাল বিরিয়ানির রেসিপি-

উপকর

১. পোলাও চাল ৩ কাপ
২. কাঁচা কাঁঠাল ২ কাপ
৩. পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
৪. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
৫. রসুন বাটা ২ চা চামচ
৬. জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
৭. ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ
৮. বিরিয়ানি মসলা ১ টেবিল চামচ
৯. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
১০. মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ
১১. লবণ স্বাদমতো
১২. তেল আধা কাপ
১৩. এলাচ
১৪. দারুচিনি ও তেজপাতা কয়েকটি
১৫. কাঁচা মরিচ ৮-২০টি
১৬. বেসন ১ টেবিল চামচ ও
১৭. ঘি ১ টেবিল চামচ।

পদ্ধতি

প্রথমে পোলাও চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর কাঁচা কাঁঠালের খোসা ফেলে টুকরো করে কেটে নিন। কাঁঠালের টুকরোগুলো সামান্য হলুদ, মরিচ, জিরার গুঁড়া, আদা ও রসুন বাটা, লবণ ও বেসন মিশিয়ে ভালো করে মেখে আধা ঘণ্টা রেখে দিন মেরিনেশনের জন্য।

এরপর প্যানে হালকা তেল গরম করে কাঁঠালের টুকরোগুলোর দু’পাশ হালকা ভেজে নিন। এরপর আরও একটু তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে অর্ধেক তেল ও অর্ধেকটা ভাজা পেঁয়াজ তুলে রাখুন। এদিকে গরম মসলা ও বাটা মসলা প্যানে দিয়ে ভাজতে থাকুন।

গুঁড়া মসলা, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ভাজা কাঁঠাল ও ১ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে তেল ওপরে উঠে এলে কাঁঠালের টুকরোগুলো তুলে নিন। পেঁয়াজ ভাজার বাকি তেল ঢেলে দিন।

এবার পোলাও চাল ওই তেলে কয়েক মিনিট ভাজুন। এরপর ১ কাপ গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন। পানি অর্ধেক শুকিয়ে এলে কাঁঠালের টুকরো, কাঁচা মরিচ ৮-১০টি ও স্বাদ বুঝে লবণ দিয়ে নেড়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দমে রাখুন।

চাল সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে উপড়ে ১ টেবিল চামচ ঘি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা ছড়িয়ে আরও কয়েক মিনিট মৃদু আঁচে দমে রাখুন। এরপর চুলা বন্ধ করে দিন। তৈরি হয়ে গেল মজাদার কাঁঠাল বিরিয়ানি।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content

আরও খবর: লাইফস্টাইল

লোহাগড়ায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন ২০২৪ কারা হচ্ছেন সদস্য? কে হচ্ছেন সভাপতি?প।

জেলাজুড়ে নতুন চালে ঘরে ঘরে ভাপা পিঠা তৈরীর উৎসব

শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি শীত আসলেই মনে হয়ে যায় শীতের নানা রকম মুখোরোচক পিঠার কথা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই নেত্রকোনা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতে পিঠা বানানো, বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিঠা ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নেত্রকোনা জেলার পৌর শহরের থানারমোড়, মুক্তারপাড়া মাঠ, বড়বাজার, সাতপাই কালিবাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারের মোড়ে এবং গ্রামের দোকানে মাটির চুলায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা। বেশির ভাগই চোখে পড়ে ভাপা ও চিতই পিঠা। শীত আসলেই এসব দোকান বসে। পিঠা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি লাগে, এ ছাড়া কিছু গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়েই শুরু করা যায় ব্যবসা। তারা আরও বলেন, শীত মৌসুমে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি হয় বেশি। বিকেল থেকে বেশ রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে পিঠার দোকানগুলোতে। জেলার পৌর শহরের থানার মোড়ে ভাপা পিঠা খেতে আসা আমহোসেন বলেন, চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। গরম গরম ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণ বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পৌর শহরের পিঠা বিক্রেতারা জানান, বেচা-বিক্রি বেশ ভালোই। সন্ধ্যায় ক্রেতাদের আগমন ঘটে অনেক, ফলে চাহিদানুযায়ী বানানো হয়ে থাকে। গরমে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীতের মৌসুমে তিনি ভাপা পিঠা ও সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনযাপন করছেন। তারা আরও বলেন, চিতই পিঠার সঙ্গে ধনে পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করেন তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন এসব পিঠার এক একটির দাম নেওয়া হয় ১০ টাকা এবং ভাপা পিঠার দাম নেওয়া হয় ১৫ টাকা। সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খান। অনেকে আবার বাড়ির জন্য কাগজে করেও নিয়ে যান এসব পিঠা। এ বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সেলিম মিঞা জানান, পথেঘাটে অনেক পিঠার দোকান বসে। দোকানদার অবশ্যই দুহাত ধুয়ে পিঠা তৈরি করবেন। রাস্তার পাশের দোকান ঢেকে রাখা প্রয়োজন। অপরদিকে, ক্রেতারা হাত ধুয়ে পিঠা খাবেন। কখনোই বাসি ও পচা পিঠা খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস্ট্রিকসহ ডায়রিয়া হতে পারে। রিপন কান্তি গুণ ১৩/১২/২০২৩

মাত্র সাড়ে ৬ মাস দায়িত্ব পালনে,রূপসা”বাসীর আস্থার প্রতীক : ওসি মো: শাহিন

জহিরুল হক বলেন, কেন্দ্র থেকে ঘোষিত বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে থানা পুলিশ বাঁধা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন: সালাম মূর্শেদীর,

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন: সালাম মূর্শেদীর,