দেশজুড়ে

টেকনাফ উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তারা, যত্রতত্র স্থানে তরকারি বিক্রি, মাছ বিক্রি,ভাড়া বাসায় রোহিঙ্গাদের বসবাস,মাদকমুক্ত করনে সাঁড়াশী অভিযান শুরু করা হবে

ডেস্ক রিপোর্ট

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১০:১২:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

এস এন কায়সার জুয়েল
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন,পৌর শহরে যত্রতত্র স্থানে তরিতরকারি ও মাছ বিক্রি,ভাড়া বাসায় রোহিঙ্গাদের বসবাস, ভাড়া বাসায় মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে কাঁটাতারের ভিতর বাহিরে না আসা,রোহিঙ্গাদের পণ্যসমূহ পৌর শহরের বাজারে বিক্রির না করা,টেকনাফ পৌর শহরের প্রধান সড়কে যত্রতত্র স্থানে যানবাহন বাস ও পরিবহন গাড়ি সমূহ অবস্থান না করা, টেকনাফ পৌর শহর কে রোহিঙ্গাদের বসবাস মুক্ত ও ভাড়া বাসা মালিকদের আগে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সভায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রদান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুর আলম ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আকতার মিলি ও টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিম। চলতি বছর ডিসেম্বর মাসে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ব্যতীত স্থল ও নৌপথে পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করে ৫১ কোটি ১০ লাখ ৪ হাজার ৪৭৫ টাকার দামে ইয়াবা,ক্রিস্টাল মেথ আইস, বিয়ার, বিদেশি মদ, সিগারেট, স্বর্ণের চেইন, যানবাহন ও জাল জব্দ করে। মামলা ৫৪,আটক ২৪ ও ৭ জন পলাতক। এর মধ্যে বিজিবি ১৭ কোটি ৮৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫ টাকা, মামলা ৩৫, আসামি ৮জন ও কোস্টগার্ড ৩৩ কোটি ২১ লাখ ৩৯ হাজার ৪ শত টাকা, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের জব্দকৃত মালামালের মূল্য কার্যবিবরণীতে পাওয়া যায়নি। শুধু মাত্র ৬৯ হাজার ৪৩৫ পিস ইয়াবা ও গাঁজা ৫০গ্রাম। মামলা ১২,আটক ১৪। টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, টেকনাফ পৌর শহরে সোনালী ব্যাংক এবং এবি ব্যাংকে স্থল বন্দরের আমদানী ও রপ্তানী কারক প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ড্রাপ নিয়ে চলছে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। রাঘববোয়াল প্রভাবশালীরা প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ধার্যকৃত ড্রাপ প্রভাব বিস্তার করে ভাগিয়ে নিয় যাচ্ছে। এ নিয়ে ভবিষ্যতে অদ্ভুত পরিস্থিতি ডেকে নিয়ে আসবে। সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী বলেন,স্থলবন্দরে ২টি গেইট এর মধ্যে মাত্র একটি গেইট ব্যবহার করছে। ফলে প্রধান সড়কে নিত্যদিন যানজট সৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহন ও পরিবহন জনদুর্ভোগে শিকাট হয়।এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জহীর হোসেন এমএ, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম,মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বিহারি ও আঃলীগ নেতা সোনা আলী ও।টেকনাফ পৌর নিবার্হী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।উপস্থিত ছিলেন,সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক,বিজিবি,পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধি,টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিনিধি।সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা আশা করছেন।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content