দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন বেশ কয় দিন হলো বৃষ্টি নেই। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুরে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

ডেস্ক রিপোর্ট

১৮ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:২৫:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ তারেক রহমান সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

প্রচণ্ড গরম ও রোদে মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। এই তীব্র গরমে কর্মমুখী মানুষ পড়েছে মহা বিপদে। তীব্র তাপদাহের মধ্যেই পেটের তাগিদে তাদের বেড়িয়ে পড়তে হচ্ছে মাঠে-ময়দানে বিভিন্ন কাজের সন্ধানে।

এই তীব্র গরমে স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন না পণ্য ডেলিভারি ম্যান, রিকশা-ভ্যানচালক থেকে শুরু করে দিন মজুররা। খোলা আকাশের নিচে তাদের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। তীব্র তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম সহ্য না করতে পেরে ছোট ও বড়রা নামছেন পুকুরের পানিতে।

আজ সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গরম সহ্য করতে না পেরে ছিন্নমূল মানুষকে ছায়াঢাকা গাছের নিচে খালি জায়গায় একটু শান্তির আশায় শুয়ে আছে। সুযোগ পেলেই একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ ছুঁটছে গাছের ছায়া কিংবা শীতল কোনো স্থানে।

শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকার এক ভ্যান চালক বলেন , এই রোদ ও গরমে ভ্যান চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাই মাঝে মাঝে ভ্যান নিয়ে গাছের ছায়ার নিচে বসে থাকি। গরমের কারণে শরিলে শক্তি পাইনা শরির ক্লান্ত । অপরদিকে বেশ কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমে জ্বর, ঠাণ্ডা, পানিশূন্যতা ও ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content

রূপগঞ্জে সাংবাদিক সোহেলের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসী আফজালকে গ্রেফতার ও অন্য কাউকে হয়রানি না করার দাবিতে মানববন্ধন।

শেরপুরে অনাবিল ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করলেন পুলিশ সুপার,

শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি শীত আসলেই মনে হয়ে যায় শীতের নানা রকম মুখোরোচক পিঠার কথা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই নেত্রকোনা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতে পিঠা বানানো, বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিঠা ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নেত্রকোনা জেলার পৌর শহরের থানারমোড়, মুক্তারপাড়া মাঠ, বড়বাজার, সাতপাই কালিবাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারের মোড়ে এবং গ্রামের দোকানে মাটির চুলায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা। বেশির ভাগই চোখে পড়ে ভাপা ও চিতই পিঠা। শীত আসলেই এসব দোকান বসে। পিঠা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি লাগে, এ ছাড়া কিছু গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়েই শুরু করা যায় ব্যবসা। তারা আরও বলেন, শীত মৌসুমে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি হয় বেশি। বিকেল থেকে বেশ রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে পিঠার দোকানগুলোতে। জেলার পৌর শহরের থানার মোড়ে ভাপা পিঠা খেতে আসা আমহোসেন বলেন, চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। গরম গরম ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণ বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পৌর শহরের পিঠা বিক্রেতারা জানান, বেচা-বিক্রি বেশ ভালোই। সন্ধ্যায় ক্রেতাদের আগমন ঘটে অনেক, ফলে চাহিদানুযায়ী বানানো হয়ে থাকে। গরমে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীতের মৌসুমে তিনি ভাপা পিঠা ও সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনযাপন করছেন। তারা আরও বলেন, চিতই পিঠার সঙ্গে ধনে পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করেন তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন এসব পিঠার এক একটির দাম নেওয়া হয় ১০ টাকা এবং ভাপা পিঠার দাম নেওয়া হয় ১৫ টাকা। সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খান। অনেকে আবার বাড়ির জন্য কাগজে করেও নিয়ে যান এসব পিঠা। এ বিষয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সেলিম মিঞা জানান, পথেঘাটে অনেক পিঠার দোকান বসে। দোকানদার অবশ্যই দুহাত ধুয়ে পিঠা তৈরি করবেন। রাস্তার পাশের দোকান ঢেকে রাখা প্রয়োজন। অপরদিকে, ক্রেতারা হাত ধুয়ে পিঠা খাবেন। কখনোই বাসি ও পচা পিঠা খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস্ট্রিকসহ ডায়রিয়া হতে পারে। রিপন কান্তি গুণ ১৩/১২/২০২৩

ভোট পাগল আব্দুল হাই আবারো হেরে গেলেন

দুমকিতে ব্যবসায়ীকে হেনেস্থার অভিযোগ

মোল্লাহাটে জাটকা রক্ষা অভিযানে কারেন্ট জাল ধ্বংস