দেশজুড়ে

মির্জাগঞ্জে ৫ নং কাকড়াবুনিয়ায় নৌকার মাঝি হতে চান নাঈমা সুলতানা

ডেস্ক রিপোর্ট

১০ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:০০:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ শাহীন হাওলাদার মির্জাগঞ্জ পটুয়াখালীঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন তৃণমূল আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সহস্রাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে অংশগ্রহণ করেন নাঈমা সুলতানা।

সোমবার ( ১০ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় উপজেলা অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী আলমগীর।

কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ.এস.এম সিরাজুর রহমান নিলুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আতাহার উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জুয়েল বেপারী, সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুবল চন্দ্র দেবনাথ।

নাঈমা সুলতানা এ বর্ধিত সভায় ৫ নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন থেকে সহস্রাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে অংশগ্রহণ করে। তিনি ৫ নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান মাহবুব আলম স্বপনের স্ত্রী।

নাঈমা সুলতানা আসন্ন কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ওই বর্ধিত সভায় ঘোষণা করেন ।

নাঈমা সুলতানা সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবে সরব রয়েছেন নিজ এলাকায়। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজার পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। তাকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়ে তার সমর্থনকারীরা বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অগ্রিম প্রচার-প্রচারণা। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও নাঈমা সুলতানার পক্ষে মাঠে কাজ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, নাঈমা সুলতানা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যোগ্য ও যুগোপযোগী, উন্নয়ন বান্ধব। তার স্বামী মাহবুব আলম স্বপন চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সরকারি বরাদ্দে কল্পনাতীত উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করেছে। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার প্রয়োজন নাঈমা সুলতানার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, নৌকা প্রত্যাশী নাঈমা সুলতানার মধ্যে সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা, আর্থিক, সামাজিক ও সাধারণ ভোটারদের সমর্থন বিবেচনায় তিনি নৌকা প্রতীক পাওয়ার যোগ্য। তার স্বামী চেয়ারম্যান থাকাকালীন মাত্র এক বছরে ইউনিয়নে নানামুখী উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছে। আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ও নিঃস্বার্থভাবে জনকল্যাণে নিবেদিত একজন অতুলনীয় মানুষ ছিলেন তিনি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার সুযোগ্য সহধর্মিণী নাঈমা সুলতানার মতো জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন।

নাঈমা সুলতানা ২০০৮ সালে ভাওয়াল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। ২০১৭ সালে ৫ নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হন তিনি। ২০১৯ সালে ওই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি হন। ২০১৯ সালে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নং ওয়ার্ডের ৫ নং কাউন্সিলর ভোটার ছিলেন তিনি।

নাঈমা সুলতানা বলেন,’আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে স্কুল জীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ ও একজন একনিষ্ঠ কর্মী। দলের সুখে-দুঃখে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করে আসছি। আমি ও আমার স্বামী দীর্ঘ বছর যাবত নিঃস্বার্থভাবে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সেবা করতেছি। আমার স্বামী চেয়ারম্যান থাকাকালীন মাত্র এক বছরে এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ এবং সুনাম ও সফলতার সঙ্গে মানুষের সেবা করছে। সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন তিনি।’

তিনি আরও বলেন,’ আমার স্বামী মাহবুব আলম স্বপন ২০২১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আমার স্বামীর অসমাপ্ত কাজগুলো করার লক্ষ্যে আমি নৌকার মাঝি হতে চাই। দল আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ। তাই এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আসন্ন কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করি।’

উল্লেখ্য গত ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং ৫ নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম স্বপন মৃত্যু বরণ করাতে ওই আসনটি শূন্য হয়।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content