আইন

নগরকান্দায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ইউএনওর ড্রাইভারের বিরুদ্ধে মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট

৯ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:১৬:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

 

মুকুল বোস ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ইউএনওর নাম ভাঙ্গিয়ে বালু ও মাটি ব্যবসায়ী থেকে চাঁদা আদায় ও এক মাটি ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি চালক মনিরের মাতুব্বরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ড্রাইভারকে অভিযুক্ত করে ফরিদপুরের বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা  করেছে ভুক্তভোগী মাটি ব্যবসায়ী।
মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ১২ই ফেব্রুয়ারী বিকেলে উপজেলার তালমা ইউনিয়নের মহিলারোড সংলগ্ন তেলের পাম্পের সামনে থেকে এক মাটি ব্যবসায়ীর গাড়ি আটকে রেখে তাকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয় ড্রাইভার মনির ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। ঘটনার ভুক্তভোগী উপজেলার তালমা মোড় গ্রামের ইমদাত খলিফার ছেলে মোঃ ফয়সাল খলিফা (২০) বাদি হয়ে ড্রাইভার মনির মাতুব্বর সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদপুরের আদালতে মামলা করে।


মামলার বাদী ফয়সাল খলিফা বলেন, আমি দীর্ঘদিন মাটি ব্যবসার সুবাদে নগরকান্দার ইউএনওর ড্রাইভার মনির আমার কাছে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি চাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১২ ফেব্রুয়ারী বিকালে  উপজেলার মহিলা রোড পেট্রোল পাম্পের সামনে দিয়ে মাটির  ট্রলি নিয়ে পৌছানো মাত্র মনির ও তার সহযোগীরা আমার গতিরোধ করে। ও আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মনির আমাকে মারধর করে এবং আমার পকেটে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মনির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১৪ ফেব্রুয়ারী ফরিদপুরের বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী আকাশ আহমেদ বলেন, ইউএনও স্যারের ভয় দেখিয়ে মনির আমার কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিয়ে আসছে। চাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই মনির আমাদের হুমকি ধামকি সহ বিভিন্ন মামলার ভয় দেখায়।
ভুক্তভোগী আরেক মাটি ব্যবসায়ী মোঃ রানা বলেন, ইউএনও স্যারকে ম্যানেজ করতে মনির আমার থেকে প্রতিদিন ১ হাজার করে টাকা নেয়। যাতে করে কোনো অভিযানের আগে সে আমাদেরকে সতর্ক করতে পারে। আর এ টাকাগুলো সে ডিউটি শেষ করে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিতে আসে। একদিন টাকা দিতে ব্যর্থ হলেই ইউএনও স্যারকে দিয়ে আমাদের মামলা দেয়।এদিকে চাঁদা নেওয়ার কথা স্বীকার করে ড্রাইভার মনির মাতুব্বর বলেন, ইউএনও স্যারের গাড়ি চালানোর সুবাদে অনেক সময় বিভিন্ন লোকজন আমাকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা পয়সা দেয়। এটি নেওয়া অন্যায় হলে আর নিবো না। এ বিষয় নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক বলেন, বিষয়টি আমার কানে এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত  করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content