দেশজুড়ে

খানসামায় কালভার্টের রিং আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে

ডেস্ক রিপোর্ট

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:০৪:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নুর-আমিন ;খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ-দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বটতলী বাজারের সাঁকোর পাড় এলাকায় সরকারী কালভার্টের রিং আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে জাহেদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমনকি এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ছফির আলী নামে এক ইউপি সদস্য।
অভিযুক্ত জাহেদুল ইসলাম ঐ এলাকার মৃত তবারক আলীর পুত্র।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয়ের আওতাধীন ক্ষুদ্র ব্রীজ ও কালভাট প্রকল্পের বাজেটের প্রেক্ষিতে বটতলী বাজার হইতে চান্দেরগাহ সংলগ্ন গুচ্ছগ্রামের পাশে রাস্তায় ১০ (দশ) টি কংক্রিটের রিং বসিয়ে পানি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীতে বিগত ২০২১ সালের শেষের দিকে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর উক্ত স্থানে একটি স্থায়ী কংক্রিটের ব্রীজ নির্মাণ করে এবং পূর্বের ১০ (দশ) টি) কংক্রিটের রিং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হস্তান্তর করেন এবং রিং গুলো উক্ত স্থানেই রাখা হয় কিন্ত বিগত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে উক্ত স্থানে থাকা সরকারী কংক্রিটের রিং গুলো সকলের অগোচরে তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়।
সরে জমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তের ছেলে বলেন,ভাই কি হয়েছে? আমরা তো এগুলো আইনুল (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান) এর কাছে কিনে নিয়েছি। কত টাকায় কিনেছে জানতে চাইলে বলে, এটা আমিতো জানি না। আমার বাবা বলতে পারবে।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত জাহেদুল বলেন, আমি এগুলো কিনি নাই। কয়া বুলি নিছি কন্ট্রাক্টারের কাছ ও চেয়ারম্যান এর কাছে। আবার কখনো বলেছেন আমাকে দান করেছেন আমার চেয়ারম্যান আইনুল শাহ্। এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীর সাথে এখনি কথা বলে আসলাম। মন্ত্রী আমাকে বলেছে, এইখানে আরও দশটা রিং নিয়ে পোতেক। কাহ কিছু কইবে না।

তবে এ ব্যাপারে আইনুল শাহ্ মুঠোফোনে জানিয়েছেন, আমি এগুলো কাউকে দান করি নাই কিংবা বিক্রিও করি নাই।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ছফির আলী জানান,এগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে আমাকে জানায় পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে যে রিংগুলো নিয়ে গিয়েছে তার কাছে ফেরত চাই।
কিন্তু সে আমাকে লাঞ্ছিত সহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি,হুমকি প্রদান করেছে আমি বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান কে জানিয়েছি এমনকি সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন বলেন, সরকারী কংক্রিটের রিং গুলো হলো ইউনিয়ন পরিষদের সম্পত্তি।কারণ এগুলো দিয়ে গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার মেরামত কাজে ব্যবহার করা হয়। আর এগুলো কেউ যদি আত্মসাৎ করে সেটা গুরুতর অপরাধ। আর এমনই একটি ঘটনা আমার ইউনিয়নে ঘটেছে। ঘটনার বিষয়টি ইউপি সদস্য আমাকে জানিয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে তাকে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান চাই।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content