দেশজুড়ে

চৌকিদার নাকি ইউপি সচিব রায়গঞ্জে ধুবিল ইউনিয়নে সচিবের চেয়ারে বসা কে এই দীপক

ডেস্ক রিপোর্ট

৭ এপ্রিল ২০২৩ , ২:১৫:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ তারেক রহমান সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের কাজ ও ইউপি সচিবের কাজ করছে কে এই দীপক? সেকি চৌকিদার নাকি ইউপি সচিব। চৌকিদার হয়ে ইউপি সচিবের চেয়ারে বসে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায়, ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদে তথ্যসেবা কেন্দ্রের নির্ধারিত অফিস থাকলেও কোন কাজ পায় না তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা রমজান আলী। সকল কাজ ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে করেন চৌকিদার দীপক কুমার।
রমজান আলী বলেন, ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশেই পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় তথ্য-সেবা কেন্দ্রের বিপরিতে পাশের রুমে চেয়ার টেবিল সহ সকল আসবাব পত্র নিয়ে সাজানো গুছানো অফিসটি ব্যবহার করছেন ইউনিয় পরিষদের চৌকিদার দীপক কুমার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীপক কুমার চেয়ারের উপর বসে ৩শত টাকা করে নিয়ে জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের কাজ করছেন। সেবা নিতে আশা ব্যাক্তিরা কাগজের মধ্যে টাকা জরিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।সেবা গ্রহীতারা বলেন তারা সচিব সাহেবের কাছে এসেছেন কাজ করার জন্য। সচিব সাহেব কে জানতে চাইলে! উপস্থিত সেবা প্রার্থীরা মাস্ক, প্যান্ট সার্ট পড়া সাহেব সেজে বসে থাকা চৌকিদার দীপক কুমারকে দেখিয়ে দেয়।এ-বিষয়ে চৌকিদার দীপক কুমারে নিকট জানতে চাইলে সে নিজেকে চৌকিদার বলে অস্বীকার করেন।
পরে আবার সে নিজেকে চৌকিদার পরিচয় দিয়ে বলেন-সে সচিব ও চেয়ারম্যানে নির্দেশে এখানে কাজ চলে। তারপর তোপের মুখে রুমে তালা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেল বলেন-চৌকিদার সরকারী চাকুরী করে, সে সরকারী বেতন খায় তাই সে যে কোন অফিসেই বসতেই পারে। অপরদিকে তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা রমজান আলীর কাজ সরকারী না হওয়ায় আমরা তাকে কোন কাজ দেই না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। । উল্লেখ্য ইতি পূর্বে এমন ঘটনায় অনেক কেই অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content