অপরাধ

দৌলতপুরে ভুয়ামুক্তিযোদ্ধা পুলিশের হাতে আটক

ডেস্ক রিপোর্ট

৭ এপ্রিল ২০২৩ , ১২:১৬:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ আমিনুল ইসলাম ,দৌলতপুর(মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে নামের মিল থাকার সুযোগ নিয়ে এক মৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতি করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদকে গ্রেফতার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

জানাগেছে-
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আবুস সামাদ,মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার সাবেক জামসা ইউনিয়নের বর্তমান গোলাডাঙ্গা ইউনিয়নের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে মৃত আব্দুস ছামাদ।তার মাতার নাম ছলিমন বেগম। সে ২০০৭ সালে মৃতবরন করেন। সেই সুযোগে নামের সাথে মিল থাকায় দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের গালা গ্রামের আব্দুস সামাদ ছেলের সহযোগিতার মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যান। ভুয়া ঠিকানা ব‍্যাবহার করে। তার ছেলে ময়নাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে ভুলতথ্য দিয়ে তার পিতাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়। প্রকৃতপক্ষে আব্দুস ছামাদের বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার তেবাড়ীয়া গ্রামের মৃত মুন্নাফের ছেলে।তিনি বর্তমান ঠিকানা সিংগাইর উপজেলা দেখিয়ে সাবেক ঠিকানা দৌলতপুর উপজেলার গালা গ্রাম বলে।ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার চেষ্টা করছে এবং সিংগাইর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই সংবাদ জানতে পেরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে সেলিনা বেগম( ৪৮) সিংগাইর থানায় একটি প্রতারনা মামলা করেন মামলার নং ২২ (৯) ২০২২। পরে মামলাটি আমলে নিয়ে মহামান‍্য আদালত তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ড জারী করেন।এবং ওয়ারেন্ড দৌলতপুর থানায় পৌছালে গতকাল বুধবার ৫ এপ্রিল রাতে এ এস আই রস্তুম আলী ও এ এস আই মাসুদ রানা সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাটুরিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দৌলতপুর থানায় নিয়ে আসে।পরে তাকে মানিকগঞ্জ পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সেলিনা বেগম বলেন আমার পিতার নাম আব্দুস ছামাদ তিনি ১৯৭১সালে ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহন করে দেশ স্বাধীন করে। আমার পিতা ২০০৭সালে মারা যায়।মারা যাওয়ার পর আমার পিতার কাগজ পত্র দেখে জানতে পারি সে মুক্তিযোদ্ধ করেছে।পরে আমরা কাগজ পত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা অফিসে যোগাযোগ করি।যোগাযোগ করলে দেখা যায় ভারত থেকে যে তালিকা এসেছে সেই তালিকায় আমার পিতার নাম রয়েছে। পরে আমরা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে দৌড় ঝাপ করে কাগজ পত্র ঠিক করে সরকারি ভাবে আমার মা হালিমা বেগম নিয়মিত ভাতা পাচ্ছে গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮সাল হতে। আমার মাতা হালিমা বেগম এখন ও গ্রামের বাড়িতে থাকে। আমারা ১ভাই ১বোন। আমি ঢাকা আমার স্বামীর কাছে থাকি এবং আমার ভাই সাউথ আফ্রিকা থাকেন ২০১৮সাল থেকে। এই সুযোগ নিয়ে প্রতারক আব্দুস ছামাদ দীর্ঘদিন যাবত আমার পিতার ঠিকানা ও মুক্তিযোদ্ধা সনদ,জাতীয় পরিচয় পত্র ভুয়াভাবে বানানোর চেষ্টা করছে। আমি খবর পেয়ে বাধ‍্য হয়ে সিংগাইর থানায় ২০২৩ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করি।

এবিষয়ে এ এস আই মোঃ মাসুদ ওএ এসআই মোঃ রুস্তম আলী বলেন গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদকে সাটুরিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content