দেশজুড়ে

‘জনসেবাই জনপ্রশাসন’ এ বাক্যটির বাস্তব উদাহারণ যেন ইউএনও মুনিয়া চৌধুরী।

ডেস্ক রিপোর্ট

২ এপ্রিল ২০২৩ , ৬:৩৯:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, গরীর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর পাশে সহোযোগিতার হাত বাড়ানো প্রতিদিনের রুটিনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাটাইল উপজেলার ইউএনও মুনিয়া চৌধুরীর।
একজন সফল নারী তার সততা, আদর্শ ও দৈনন্দিন কর্মদক্ষতার জন্য ঘাটাইল উপজেলায় সর্ব সাধারণের এবং সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মন জয় করেছেন ঘাটাইল উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিয়া চৌধুরী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিয়া চৌধুরী গোপালগঞ্জ জেলার সদর পৌর সভায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এক ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। বাবা সরকারের সাবেক সচিব ডক্টর চৌধুরী মোঃ বাবুল হাসান, মা শাহীনা চৌধুরী গৃহিণী, স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আশরাফ সাদেক তার দুই সন্তান।
তিনি ২০০৭ সালে এইস,এস,সি পাশ করে ২০০৮ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন । যোগদানের মাত্র ১০ দিনের মাথায় ব্যক্তিগত কারণে সেখান থেকে চলে আসেন।

২০০৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে ৩৪ তম বিসিএস ক্যাডার প্রশাসনে যোগদান করেন তার পর থেকে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছেন।

তিনি ২০২২ সালের ৬ মার্চ টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন। ঘাটাইলে যোগদানের পূর্বে তিনি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
যোগদানের মাত্র এক বছরের মাথায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতোমধ্যে তিনি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে পাল্টে যাচ্ছে অনেক দৃশ্যপট। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে নিয়োজিত আছেন তিনি। যোগদানের পর থেকে সর্বক্ষণিক সেবামূলক কাজ করে মানবিক ইউএনও হিসেবে উপজেলাবাসীর নিকট পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হন। নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে লাগে না কোন অনুমতি। ইচ্ছা করলে যে কেউ তার অফিসে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারেন। জনসাধারণকে অফিস রুমে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করার জন্য ইতিমধ্যে দরজায় টানানো পর্দা খুলে ফেলা হয়।
সৎ-সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একজন মানুষই যে আস্ত সিস্টেমকে বদলে দিতে পারেন তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি। ইউএনও মুনিয়া চৌধুরী ঘাটাইলে যোগদানের পর থেকেই তার মানবিকতা ও সততার খ্যাতি পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। মুনিয়া চৌধুরী তার দপ্তরের কাজের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যে কোন সমস্যার জন্য পরামর্শ চাইলে তিনি তা ধৈর্য্যর সহিত সরাসরি তাদেরকে পরামর্শ ও সমাধান দেন। ইতিমধ্যে ঘাটাইল উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার প্রসারের জন্য সহযোগিতা করেছেন। মসজিদ, মন্দির, এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয় প্রকল্পের ঘরের সুষ্ঠু বন্টনেও অবদান অপরিসীম। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে নিয়ে দাম বৃদ্ধির গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে বাজার মনিটরিং করা, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিক্রিতে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ সহ নানা পজেটিভ কর্মকাণ্ডে উপজেলা জুড়ে মানবিক ইউএনও হিসাবে পরিচিত পেয়েছেন মুনিয়া চৌধুরী। ঘাটাইলে দুর্নীতি, বাল্যবিয়ে বন্ধেও তিনি তার অবস্থানে কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসিয়াল ফোন নাম্বার এবং Uno Ghatail ফেইসবুকে মেসেজে যেকোন অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন ইউএনও মুনিয়া চৌধুরী ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মুনিয়া চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাব। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি উদ্যোগ সফল করতে আমি অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাব। মানবসেবার ব্রত নিয়েই চাকরিতে এসেছি। আমি এ উপজেলাবাসীর জন্য যেটা করছি, তা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকেই করছি। ঘাটাইল উপজেলার অসংখ্য মানুষ ইউএনও মুনিয়া চৌধুরীর প্রশংসা করে বলেন, এরকম একজন ইউএনও আমাদের উপজেলায় দীর্ঘদিন থাকলে আমাদের উপজেলা হবে দুর্নীতিমুক্ত। পাশাপাশি গরিব, দুঃখী, অসহায় এবং সকল শ্রেণীপেশার মানুষের কল্যাণ হবে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content