দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে চালু হলো বশেমুরবিপ্রবি’র ক্যাফেটেরিয়া

কৌশিক দাশ
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

নানা আলোচনা ও সমালোচনার ইতি টেনে অবশেষে চালু হয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) ক্যাফেটেরিয়া। ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাসের ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানীকে।

মঙ্গলবার(২১ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ঘটিকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.এ.কিউ.এম মাহবুব ক্যাফেটেরিয়া উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মোবারক হোসেন, প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক সহ সাধারন শিক্ষার্থীরা।

তবে উদ্ভোধনের প্রথম দিন দুপুরে খাবারের দাম নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দুপুরের খাবারে খিচুঁড়ির দাম ১৫টাকা এবং মুরগির দাম ৪০টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। খিচুঁড়ির দাম ১৫টাকা হলেও মুরগির দাম নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে।

ক্যাফেরিয়ার চালু হওয়ায় অভিব্যক্তি প্রকাশ করে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্যাফেটেরিয়া চালু হওয়ায় আমরা খুবই উচ্ছ্বাসিত। পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহির থেকে বেশি দামে খাবার খেতে হত। কিন্তু এখন থেকে ক্যাফেটেরিয়া থেকে খাবার খাওয়া যাবে। তবে খাবারের দাম ও মান সহনীয় থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।

খাবারের দাম এবং মান কেমন হবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়া প্রশাসক ড. মো. বশির উদ্দীন বলেন, উদ্বোধনের দিন আমরা কক মুরগি দিয়েছি। সেজন্য দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। আপাতত খিঁচুড়ি এবং মুরগি দিয়ে ৩-৪দিন ক্যাফেটেরিয়া চলমান থাকবে। তবে রবিবার থেকে সকল প্রকার খাবার পরিবেশন করা হবে বলে জানা তিনি।

তিনি বলেন, খাবারের মান অনেক ভালো হবে বলে আশা করি এবং দাম সর্বনিম্ন রাখা হবে।

ক্যাফেটেরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাজ করার সুযোগ পাবে কিনা? এবিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ক্যাফেটেরিয়াতে কাজ করার জন্য প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাবে, তারপর বাহিরে কেউ।