দেশজুড়ে

টেকনাফ স্থল বন্দরের লেনদেন ড্রাফট’র পরিবর্তে এলসি’র আওতায় আনার দাবী ব্যবসায়ীদের এতে রাস্ট্র এবং ব‍্যবসায়ী উভয়ই লাভবান হবে বলে অভিমত !

ডেস্ক রিপোর্ট

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:২১:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোহাম্মদ ইউনুছ অভি
টেকনাফ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত বানিজ্য টেকনাফ স্থল বন্দরকে (পি.ডি.ডি) ড্রাফট এর পরিবর্তে (এল.সি)জমাপত্রের আওতায় আনা হলে তৃতীয় দেশের সাথে আমদানি ও রপ্তানীর মাত্রার গতিশীলতা এবং স্থল বন্দরে রাজস্বের হার বহুগুনে বৃর্দ্দি পাবে এবং এতে রাস্ট্র এবং ব‍্যবসায়ী উভয়ই লাভবান হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বন্দর ব‍্যবসায়ী ও স্থানীয় সুশীল ও সচেতন সমাজ।সেই সাথে ব্যবসায়ীরাও স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করতে পারবে বলেও জানান অনেক ব‍্যবসায়ী।

অনুসন্ধানে যানা যায়,১৯৯৫ সালে ৫ সেপ্টম্বর বাংলাদেশ মিয়ানমার দু’দেশের সীমান্ত পর্যায়ে সীমান্ত বানিজ্য কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়।উদ্দেশ্য দু’দেশের সীমান্তের চোরাচালান রোধ করে বৈধ ব্যবসার প্রতি ব্যবসায়ীদের মনোনিবেশ করা।

আজ ২৪ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে, ধরা বাঁধা ড্রাফটের আমদানি ও রপ্তানী বানিজ্য জীবন ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।টেকনাফ স্থল বন্দর এলসি তথা জমাপত্রে পরিনত হলে মিয়ানমার,থাইলেন্ড ও মালয়োশিয়া তৃতীয় দেশের সাথে আমদানি ও রপ্তানী সাফল্য বয়ে আনবে বলেও অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরা মত প্রকাশ করেন।

স্থল বন্দরে থাকবেনা আধিপাত্য বলপ্রয়োগ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। ফিরে আসবে ব্যবসার প্রাণ চঞ্চলতা ও গতিশীলতা।

সূত্র অনুযায়ী পঁচনশীল জাতীয় সর্বোচ্চ ব্যবসায়ীরা ৫০ হাজার (ইউ.এস.এ) মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য অপঁচনশীল জাতীয় পণ্যের ৩০ হাজার ডলার ড্রাফটের বিপরীত ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে আসছে।

টেকনাফ স্থল বন্দরকে ড্রাফটের পরিবর্তে (এল.সি) জমাপত্রের পরিনত করলে ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দরকে হার বানাবে। অপর দিকে চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি ও রপ্তানীতে জটলা এবং প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হবে।চট্টগ্রাম (কর্ণফূলী)আন্তর্জাতিক বন্দর এবং কর্ণফূলী নদী নাব্যতার করণে প্রায় ভারি পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর (কর্ণফূলী নদীতে) প্রবেশ করতে পারে না এবং প্রায় জাহাজ আনোয়ারা,কুতুকদিয়া ও সন্দীপ উপকূলীয় সাগরে অবস্থান করে থাকে।মিয়ানমার,মালয়েশিয়া ও থাইল‍্যান্ড সহ তৃতীয় দেশের সাথে সীমান্ত বানিজ্য এল.সির মাধ্যমে হলে দক্ষিণ ও পূর্ব সীমান্তবর্তী টেকনাফ স্থল বন্দরের আমদানি ও রপ্তানীতে অর্থনৈতিক দরজা খুলে যাবে এবং সেই সাথে চোরাচালানের প্রতি বিমোখ হয়ে সীমান্তবর্তী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন বয়ে আনবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ স্থল বন্দরে ক্ষুদ্র আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান,রাঘববোয়াল ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে ডলারের বিপরীত ড্রপ ভাগিয়ে নেওয়ায় ছোট ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হচ্ছ।ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের সিরিয়ালের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে।এনিয়ে ব্যবসায়ীদের অভিমত,সীমান্ত বানিজ্য সম্প্রসারন এবং তৃতীয় দেশের সাথে এলসির মাধ্যমে ব্যবসা হলে স্থল বন্দরের রাজস্ব বাড়বে এবং যুব সমাজ মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content