ধর্ম

তাকওয়া অবলম্বনের ফজিলত।

ডেস্ক রিপোর্ট

৩০ মার্চ ২০২৩ , ৩:২৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

তাকওয়া দ্বারা আল্লাহর ভয়কে বুঝানো হয়েছে। ভয় করার নির্দেশ প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করা ও ইবাদত। তাকওয়া বা আল্লাহর ভীতি যেহেতু ইবাদত। তাই তাকওয়া অবলম্বনে রয়েছে অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ফজিলত।

যা তুলে ধরা হলো-ক. যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে এরূপ গুণের অধিকারীর জন্য রয়েছে পুরস্কার। আল্লাহ বলেন-এ পুরস্কার তাদের জন্যই যারা আমার সম্মুখে দণ্ডায়মান হওয়াকে এবং আমার শাস্তিকে ভয় করে।

(সুরা ইবরাহিম : আয়াত ১৪)খ. মানুষের মনের ভয়ই আল্লাহ আশা করেন। বাহ্যিক কোনো ইবাদতই আল্লাহর কাছে পৌছায় না। যা মানুষ মুখে আল্লাহর জন্য করে বলে ঘোষণা দেয়।

আল্লাহ বলেন, পশুর গোশত, রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের মনের তাকওয়া।

(সুরা হজ : আয়াত ৩৭)গ. তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়ের ফজিলতে হজরত আদম আলাইহিস সালামের সন্তানদের কুরবানি সম্পর্কে কোরআনে এসেছে- হে নবি! আপনি তাদেরকে আদম আলাইহিস সালামের দুই পুত্রের কাহিনীটি ও পুরোপুরি শুনিয়ে দিন। তারা দু’জনেই কুরবানি করল, তখন তাদের একজনের কুরবানি কবুল করা হলো আর আরেক জনেরটা কবুল করা হলো না।

সে বলল আমি তোমাকে হত্যা করব। উত্তরে (যার কুরবানি কবুল করা হয় সে) বলল, আল্লাহ শুধুমাত্র মুত্তাকিদের তথা তাঁকে ভয়কারীদের মানৎ কবুল করে থাকেন। (সুরা মায়িদা : আয়াত ২৭)ঘ. তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য রয়েছে কল্যাণের ঘোষণা।

আল্লাহ বলেন, ‘যদি তারা ঈমান আনতো এবং আল্লাহকে ভয় করে চলতো (পরহেজগার হতো), তবে তারা আল্লাহর কাছ থেকে অধিক কল্যাণকর প্রতিদান পেত। যদি তারা জানতো। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১০৩)দুনিয়ার প্রতিটি কাজে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করা উচিত। কারণ একদিন তাঁর কাছে প্রত্যেকটি কাজের জন্যই জবাবদিহি করতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে পরিপূর্ণ তাকওয়াবান হওয়ার তৌফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন। লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব।

শেয়ার করুন: