দেশজুড়ে

হাওরে একটি মাএ কাঁচা রাস্তার জন্য ১ হাজার একর বোরো ফসল তোলা নিয়ে শংঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা, রাস্তা পাকা কারণের দাবি কৃষকদের।

ডেস্ক রিপোর্ট

২৭ মার্চ ২০২৩ , ৩:৪১:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

 

বিজয় কর রতন, ষ্টাফ রিপোর্টার কিশোরগঞ্জঃ- মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবাশপুর গ্রাম থেকে কাইছমা সড়ক পর্যন্ত হাওরের ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার দু,পাশে প্রায় ১ হাজার একর বোরো জমি রয়েছে। আর মাএ ক,দিন পরেই, বোরো ধান কাটা শুরু হবে।এ হাওরের কৃষকরা তাদের কষ্টের উৎপাদিত ফসল এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে বাড়ি পর্যন্ত আনতে পারবে না। সরজমিনে ২৭শে মার্চ সোমবার এ হাওরে গিয়ে রাস্তার বেহাল দশা চোখে পড়ে কথা হয় এ হাওরের ভোগান্তির স্বীকার কৃষকদের সাথে ।দীর্ঘদিন যাবৎ এ রাস্তা নিয়ে কৃষকরা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। রাস্তা বর্তমান যে অবস্থা এতে গরুর গাড়ি কিংবা ট্রাক কোনোটাই চলাচল করতে পারবে না।এমকি পায়ে হেঁটে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কৃষকরা বলছে,তাদের কষ্টের পাঁকা ফসল জমিতেই নষ্ট হবে।এ হাওরে ৩ শতাধিক কৃষকের প্রায় ১ হাজার একর বোরো জমি রয়েছে। মালিউন গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া জানান,তিনি ধানও ভুট্টা মিলিয়ে আট একর জমির চাষ করেছেন। কিন্তু রাস্তা বেহাল অবস্থার কারণে জমির ফসল জমিতেই নষ্ট হওয়ার আশংঙ্কা করছেন তিনি।একই হাওরের ছওর মিয়া,আব্বাস আলী,মুমিন মিয়া জানান তারা ৩ জনে ১৬ একর জমি চাষ করেছেন এ হাওরে।তারা একই কথা বলেছেন, তাদের জমির পাঁকা ধান,ঘরে তুলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন। দীর্ঘ দিন যাবৎ মালিউন গ্রাম বাসি এরা রাস্তা পাঁকা করার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এলাকার বিগত চেয়ারম্যান গণ বিষয়টি আমলেনেননি।তারা বলেন,এই ইউনিয়নে অধিকাংশ হাওরের রাস্তা পাঁকা হয়ে গেছে। কিন্তু এ রাস্তাটি পাঁকা করণ হয়নি কেহ বিশ্বাস করবে না।হাওরে এত উন্নয়নের মাঝে এরকম রাস্তা রয়েছে শোনে অনেকেই হতবাক। প্রতি বছর সরকারি সামান্য বরাদ্দ দিয়ে রাস্তা পাশ থেকে মাটি কেটে রাস্তা মেরামত করা হলেও সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়ে জায়গার মাটি জায়গাতেই চলে যায়।কাজের কাজ কিছুই হয়নি।এবছরও রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। রাস্তা পাঁকা না করা পর্যন্ত হাওর থেকে উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারবে না। জরুরীভিওিতে রাস্তা পাঁকা করার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। ২নং ওয়ার্ডের ইউ, পি সদস্য মো: কবির মিয়া জানান, রাস্তা অবস্থা খুবই করণ।এ রাস্তা দিয়ে হাওর থেকে ধান আনা তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে যাওয়াটাই মুশকিল।তিনি বলেন, সামান্য সরকারি বরাদ্দ দিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। তবে এভাবে সরকারি টাকা অপচয় করে মাটি ভরাট করে কোনো লাভ হবে না।এ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাঁকা করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ঘাগড়া ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা পাঁকা হয়ে গেছে। এ রাস্তাটি পাঁকা করার দাবি দীর্ঘ দিনের কিন্তু বিষয়টি কতৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না।স্হানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমদ তৌফিকের নিকট রাস্তাটি পাঁকা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ভূইয়া জানান,ঘাগড়া ইউনিয়নে এখনও হাওরে যাওয়ার জন্য এমন রাস্তা রয়েছে তা আমার জানা নেই। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর একটি প্রকল্প দিয়েছেন রাস্তা সংস্কারের জন্য। পূর্বে যারা চেয়ারম্যান ছিলেন,তাদের আমলে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি কেনো পাঁকা করণ করা হয়নি তা তিনি জানেননি।তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে কথা বলে এ রাস্তা পাঁকা করার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।তিনি বলেন,২নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্যকে রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content