অপরাধ

পারমিট ছাড়াই সুন্দরবনে পারসে পোনা আহরণ: বন বিভাগের ভুমিকা রহস্যজনক

ডেস্ক রিপোর্ট

২৩ মার্চ ২০২৩ , ৩:৩০:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

আবুবকর সিদ্দিক, খুলনা জেলা প্রতিনিধি:
কোন প্রকার পাস-পারমিট ছাড়াই খুলনা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের গহীন বনের নদী-খালে অবাধে পারসে মাছের পোনা আহরন চলছে। অথচ বন বিভাগ নিরব। এটি লাভ জনক হওয়ায় ফড়িয়ারা মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে পারসে মাছের পোনা ধরার কাজে লিপ্ত রয়েছে। বন বিভাগ বিষয়টি জেনেও রহস্যজনক কারনে অবৈধ ভাবে পোনা আহরনকারীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না ।

স্থানীয় একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে, বর্তমানে সুন্দরবনে কোন ধরনের পোনা আহরনের পারমিট নেই। কিন্তু এক শ্রেনীর অসাধু সিন্ডিকেট বিভিন্ন ফরেস্ট স্টেশন ও বন টহল ফাঁড়িতে কর্মরত বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে উৎকোচ দিয়ে দেদারসে পারসে পোনা আহরন করছে। এতে বন বিভাগ বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। আর বিলুপ্ত ঘটছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছের। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে,পোনা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী,কোবাদক,কাশিয়াবাদ,বানিয়াখালী ও কৈখালী ফরেস্ট ষ্টেশন থেকে সাদা মাছ পরিবহনের নামে ট্রলারের পারমিট নিয়ে পোনা ধরার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। জানুয়ারী-ফেব্রয়ারী মাস থেকে পোনা ধরা শুরু হয়েছে। যা চলমান রয়েছে। তবে পোনা নিধনযজ্ঞ চললেও বন বিভাগ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারেনি। সুত্র জানায়,বর্তমানে অর্ধশতাধিক ট্রলার সুন্দরবনের আলোরকোল,নীলকোমল,কালিরচর,দুবলারচর,নারিকেলবাড়িয়া,শাপখালি,বাটলু ও দোবেকী সহ বনের গভীরে পারসে মাছের পোনা ধরছে। ওই পোনা লোকালয়ে উচ্ছ মুল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

আর বনের ভিতর পোনা পরিবহনের ট্রলারগুলো অবাধে চলাচলের সুযোগ দিয়ে অসাধু বন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুবিধা নিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পোনা আহরনের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন জেলে জানান,পারসে মাছের পোনা ধরার সুযোগের বিনিময়ে বন বিভাগের প্রতি গোনে টাকা দিতে হয়। এছাড়া বুড়িগোয়ালীনি, বানিয়াখালী, নলিয়ান ফরেস্ট ষ্টেশনেও মাসোয়ারা দিয়ে ঝাপালি, নওয়াবেকী,আমাদি ,গড়ই খালী ও পাইকগাছা সেটে নির্বেঘ্নে পোনা বিক্রির পথ সুগম করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক এজেডএম হাসানুর রহমান বলেন , সুন্দরবনে পারসে মাছের পোনা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডক্টর আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন , যদি এ ধরনের কোন অপতৎপরতা লক্ষ করা যায় তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া অবৈধ কাজের সাথে বনবিভাগের কারো কোন সম্পৃক্ততা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন:

আরও খবর

Sponsered content