২২ মার্চ ২০২৩ , ১২:২৩:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ভাটির জনপদ উপজেলা শাল্লার ভান্ডাবিল
হাওর রক্ষা বাঁধ ২৭ নং পিআইসি বাতিলসহ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ চেয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বাঁধের পার্শ্ববর্তী মৌরাপুর গ্রামবাসী।
সোমবার ২০ মার্চ মৌরাপুর গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগটি দাখিল করেন সঞ্জয় চন্দ্র দাস।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ওই তিনজন অবস্থান করে শাল্লা সদরে। পেশায় শান্ত কুমার তালুকদার দলিল লেখক, বকুল আহমেদের রয়েছে চা-পান ও সিগারেটের দোকান আর বিপ্লব রায়ের রয়েছে ফার্মেসীর ব্যবসা।
কৃষক নয় এমন ব্যক্তি হয়ে কি করে পিআইসি নিলেন এর প্রতিকার চেয়ে পিআইসি বাতিল করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে পিআইসি দেয়ার জন্য আবেদনে লিখা হয়েছে।
উপজেলার ভান্ডাবিল হাওর উপ প্রকল্পের আওতায় বিগত বছরের ২৬ নং পিআইসির মধ্যেই ১৪৬ মিটার অক্ষত বাঁধে নতুন ২৭নং পিআইসির তৈরি করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৪লাখ ৯৭হাজার ৮শ’ ৩২টাকা ৫৫ পয়সা। অথচ প্রকৃত সুবিধাভোগী কৃষকদের বাদ দিয়ে জাল কাগজ দেখিয়ে পিআইসি নিয়েছে বলে বাঁধ সংলগ্ন মৌরাপুর গ্রামবাসীর অভিযোগ ।
মৌরাপুর গ্রামের অভিযোগকারী সঞ্জয় চন্দ্র দাস বলেন, শান্ত দাসের বাড়ি নারকিলা, বকুল আহমেদের বাড়ি শাল্লা ইউপির দামপুর, বিপ্লব রায়ের বাড়ি আনন্দপুর গ্রামে। এই হাওরে এদের কোন জমিন নাই। একেক জনের বাড়ি বাঁধ থাইক্কা ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। এরা সবাই থাকে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে। প্রকৃত কৃষক নয়, এবং বাঁধের পাশে বাড়ি নাই জমি নাই এমন লোকজন কি করে পিআইসি নিল সেটি আইন বিরোধী কাজের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য আমি গ্রামবাসীর পক্ষে ডিসি মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি।
উল্লেখ উক্ত ২৭ নং পিআইসির দুনীতি অনিয়মের বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক প্রত্রিকায় বহু সংবাদ প্রকাশ হলে স্থানীয় প্রশাসন একটু নড়েচরে বসেছেন। এখন মৌরাপুর গ্রামবাসীর জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগে কি হয় সেটিই দেখার অপেক্ষায় এলাকাবাসী।